টেরাকোটায় তন্ময় বাংলার মন্দির : প্রেক্ষিত দেবী দুর্গা - Pralipta

 

পার্থ চট্টপাধ্যায়: আমাদের বাংলার শিল্প সৃজনের যে প্রাচীনতম ঐতিহ্য  - তার ভেতর উল্লেখযোগ্য  একটি ক্ষেত্র মন্দিরের টেরাকোটা। মন্দির টেরাকোটার অসাদারণ নান্দনিক ভাবনা। ইতিহাসগত দিক থেকেও এই টেরাকোটার গুরুত্ব অসীম। মন্দির স্থাপত্যের দিক থেকেও টেরাকোটা রস বোদ্ধাদের কাছে অসীম সৃজন।  টেরাকোটা শব্দটি যদিও একটি ল্যাটিন শব্দ। টেরা মানে মাটি। কোটা মানে পোড়া। তাই পোড়া মাটির যাবতীয় শিল্পকে টেরাকোটা বোঝালেও, আমরা টেরাকোটা অর্থে বুঝি ইটের মন্দিরে পোড়া মাটির ফলক বসানো ভাস্কর্যকেই।

আমাদের মন্দিরগুলি কেবলমাত্রই ধর্ম চরণের ক্ষেত্র নয়। এই মন্দির ভাস্কর্যের, স্থাপত্যের দিকগুলি মানুষকে কাছে টানে তার নান্দনিক গুণেও। মন্দির টেরাকোটা আসলে শিল্পীর আনন্দ আর নন্দন- বোধের মিশ্রণ। মন্দিরটি যে সময় পর্বে গড়ে উঠেছে তার আর্থ সামাজিক প্রেক্ষিতকে প্রকাশ করে টেরাকোটা। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলার শত শত বছরের পুরানো এই সমস্ত টেরাকোটা মন্দিরগুলি আজ প্রায়টাই বিপন্নতার মুখে। বাংলার টেরাকোটা নিয়ে বেশকিছ ধারাবাহিক গবেষণা করেছেন নির্মলকমার বস, মোহিত রায়, জুলেখা হক, তারাপদ সাঁতরা, প্রণব রায়ের মতন মানুষেরা। আমাদের সুজলা সুফলা বাংলার পলি মাটির টেরাকোটাগুলি আসলে পুরাণ, ইতিহাস, সমাজ ভাবনার একটা পরম্পরা স্রোত।

আমাদের টেরাকোটা ভাবনার গবেষণা শুরু হয়েছিল বিগত শতাব্দীর প্রথম দশক থেকে। শ্রীচৈতন্যের জন্মের কিছু আগে থেকে বাংলার মন্দিরে মন্দিরে টেরাকোটার বৈচিত্র্যময়  অলঙ্করণ শুর হয়।  একটা মিশ্র ভাবনা প্রথম থেকেই টেরাকোটা সৃজনের ভেতর ছিল।

বাংলার উত্তর ও উত্তর- পূর্ব দিকটা রাঢ় সংস্কৃতির ধারক। দক্ষিণ পশ্চিম দিক উড়িষ্যা সংলগ্ন সংস্কৃতির ধারক। পশ্চিমে আদিবাসী সংস্কৃতি। আর এই সমস্ত কিছুর প্রভাব মন্দির স্থাপত্যে বা টেরাকোটার বিষয় নির্মাণে সহায়ক হয়েছে বলে মনে হয় ।

আমাদের যে মন্দির নির্মাণ রীতি, সেখানেও রয়েছে এই মিলে মিশে যাওয়া। কোথাও চালা রীতি। তার আবার অনেক বৈচিত্র্য । দোচালা, চারচালা, আটচালা। কোথাও রত্ন রীতি, অর্থাৎ মন্দিরের ওপর এক একটি চূড়া বসানো। যতগলি চূড়া মন্দিরটিকে ততটি রত্ন মন্দির বলা হয়। কোথাও মন্দির সমতল ছাদ বিশিষ্ট। কোথাও রেখা। কোথাও মঞ্চ - এমন নানান বৈচিত্র্যময় আমাদের মন্দির স্থাপত্য। এই স্থাপত্য রীতিকে বহুমাত্রিক নান্দনিকতায় তন্ময় করেছে বাংলার পোড়ামাটির ভাস্কর্য - টেরাকোটা।

ইতিহাস বলছে ১৮০৭ - ১৮১১ সময় পর্বে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নির্দেশে ফ্রান্সিস বুকান হযামিলটন সাহেব বাংলা এবং আসামের নানা অঞ্চল ঘুরে একটি রিপোর্ট দেন। সেখানে আবশ্যিকভাবে  বাংলার মন্দিরের কথা আসে। ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ। দায়িত্ব  নিলেন জেনারেল আলেকজান্ডার ক্যানিংহোম। সঙ্গে বেগলার ও কার্লাইল সাহেব। তাঁরা পুরাতত্বের অনুসন্ধান শুরু করেন। এরপর ১৮৭৫ থেকে ১৮৭৭ - সময়পর্বে উইলিয়াম হান্টার সাহেব অনুসন্ধান করেন বাংলার মন্দিরগলি। লেখেন A STATISTICAL ACCOUNTS OF BENGALসেখানে টেরাকোটাময় মন্দিরের কথা আসে। আমাদের গুরুসদয় দত্ত  বাংলার সম্পদ টেরাকোটা নিয়ে নানা প্রচার করতে থাকেন। সংগ্রহ করতে থাকেন টেরাকোটা ফলক। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যাও এই কাজে নেমে ১৯১১- খ্রিস্টাব্দে টেরাকোটার ক্যটালগ তৈরি শুরু করেন। এই টেরাকোটার কথা লিখতে থাকেন নানা লেখায়। এরপর নির্মলকুমার বসু লিখলেন INDIAN TEMPLE DESIGNS১৯৫৩-র এই বইতে তিনি মন্দির টেরাকোটা নিয়ে আলোকপাত করেন। ডেভিড ম্যাককাচ্চন সাহেব LATE MEDIAEVAL TEMPLE OF BENGAL বইতেও টেরাকোটা নিয়ে আলোকপাত করেন। প্রদোষ দাশগুপ্ত TEMPLE TERRACOTTA OF BENGAL বইতে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরের টেরাকোটার বৈচিত্র্য  নিয়ে আলোকপাত করেন। ১৪১৫ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিতয পরিষৎ থেকে প্রকাশ পায় 'পশ্চিমবঙ্গের মন্দির টেরাকোটশ'সেখানে লেখেন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়, অমিয়কমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেভিড ম্যাকাচ্চন, তারপদ সাঁতরা, মোহিত রায়, জুলেখা হক, হিতেশরঞ্জন সান্যালের মতন মানুষ। তানপর নীহার ঘোষের TEMPLE ART OF MEDIEVAL BENGAL  আলোচিত হয় বাংলার টেরাকোটা। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত লিখলেন "ভারতের শিল্প সংস্কৃতির পটভূমিকায় বিষ্ণুপুরের মন্দির টেরাকোটা"শ্রীলা বসু ও অভ্র বস লেখেন "বাংলার টেরাকোটা মন্দির : আখ্যান ও অলংকরণ"। প্রণব রায় ১৯৯৮ -এ লেখেন "বাংলার মন্দির - স্থাপত্য ও ভাস্কর্য"১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে তারাপদ সাঁতরা লিখলেন "পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় স্থাপত্য : মন্দির ও মসজিদ"২০০৯-এ শম্ভ ভট্টাচার্য  লেখেন "পশ্চিমবঙ্গের মন্দির"২০১৫-তে হিতেশরঞ্জন সান্যাল লেখেন "বাংলার মন্দির"এই সমস্ত গ্রন্থের ভেতরেই বাংলার ঐতিহ্য  টেরাকোটার কথা এসেছে।

আমরা যদি সিন্ধু সভ্যতার বয়স খ্রিস্টপূর্ব পাঁচ হাজার বছর ধরি, তবে সেই সভ্যতাতেও খনন কার্যের পরে টেরাকোটার নিদর্শ মিলেছে।

আমাদের অবিভক্ত বাংলায় মন্দিরে মন্দিরে মধ্য যুগের থেকে শুরু করে উনিশ শতক পরযন্ত টেরাকোটায়  তন্ময় ছিল বহ মন্দির উল্লেখ করা যায় মুসলিম যুগের আগে পাল ও সেন যুগেও বাংলার মন্দিরে টেরাকোটা ছিল। এমনকি জৈন মন্দিরে লতা পাতার ভাস্কর্যে পোড়ামাটির টেরাকোটার সন্ধান পাওয়া গেছে। আমাদের আর্দ্র আবহাওয়া, পরে মুসলিম শাসনের সময় মন্দির ধ্বংসের পর্বে বহু মন্দির নষ্ট হয়ে গেছে।

এই সমস্ত কিছ ধান ভানতে শিবের গীত মনে হতে পারে। কিন্তু আমাদের সম্পদ টেরাকোটার একটা ঐতিহ্য  শুরুতে বেঁধে দিতে চাইলাম এই কারনে যে, আমাদের আলোচিত মন্দির টেরাকোটায় দুর্গার কথাটি বলার আগে এই আলোচনা অনেকটা টেরাকোটার বন্দনা করলাম ইচ্ছে করেই।

শ্রীচৈতন্য যখন বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারে বাংলাকে আচ্ছন্ন করেছেন, সেই সময় সর্ব ধর্মকেই, সর্ব মতকে তিনি গ্রহন করতে শেখালেন। ফলে বহু বৈষ্ণব মন্দিরের গায়ে শাক্ত দেবী দুর্গার টেরাকোটাকে আমরা দেখতে পাই। উপরন্তু শ্রী চৈতন্যের পার্ষদ ও বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক নিত্যানন্দ নিজে এক সময়ে শাক্ত ছিলেন। শাক্ত থেকে তিনি এসেছিলেন বৈষ্ণব ধারায়। ফলে বৈষ্ণব ধর্মের ভেতর শাক্ত ধর্মকে অচ্ছুৎ ঘোষণার বিষয়টি একেবারেই দেখা যায় নি। উদাহরণ দিতে গিয়ে আমরা বর্ধমানের সর্বমঙগলা মন্দিরের কথা বলতে পারি। সেখানে উনিশ শতকে তৈরি এই দেবী মন্দিরের দেবীর দশ হাত। তবে দুটি হাত অন্য আটটি হাতের থেকে বড়। তিনি ঘোড়ামুখি সিংহপৃষ্ঠা। এই মন্দিরে টেরাকোটাতে দুর্গা আছেন। তবে একচালায় নন। তাঁর মহিষাসুর দলন একটি চালায়, ছেলে মেয়েরা আলাদা আলাদা। আজ যে বলা হয় দেবীকে একচালা থেকে বের করে দেবীর  প্রতিটি সন্তানকে আলাদা আলাদা করাকে আধুনিক সময়ের সৃষ্টি বলা হয় তা আদৌ সঠিক নয়। আলোচিত মন্দিরটির টেরাকোটা তার প্রমাণ।

আবার বিষ্ণপুরের শ্যামরায় মন্দিরটির দিকে আমরা যদি তাকাই তবে দেখতে পাই বৈষ্ণব মন্দিরের টেরাকোটায় দশভূজার পোড়া মাটির ভাস্কর্য।

এই বর্ধমান জেলারই বাহাদরপুরে যদি আমরা যাই তবে সেখানে অষ্টাদশ শতকের রঘনাথ মন্দিরের সন্ধান আমরা পাই। রঘুনাথ বৈষ্ণব নন। কিন্তু তাঁর মন্দিরেও দুর্গা শোভা পাচ্ছেন টেরাকোটায়। আমাদের বাড়ির কাছেই বর্ধমানের কালনা। সেখানে পঁচিশ চূড়ার কৃষ্ণচন্দ্রের মন্দির। মন্দিরটির নির্মাণ ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে। এই মন্দিরেও লক্ষ্মী সরস্বতী  কার্তিক গনেশ সহ অসুর নাশিনী দুর্গার টেরাকোটা। এখানে রয়েছেন জয়া ও বিজয়াও।

মোর্শিদাবাদের গোকর্ণতে রয়েছে শ্রী নরসিংহ দেবের মন্দির। ১৫৮৮-তে তৈরি এই মন্দির। মন্দিরটি চারচালা। এখানে টেরাকোটায় একক দুর্গার যে টেরাকোটা, গবেষকরা মনে করেন এইটিই সম্ভবত টেরাকোটাতে প্রথম দুর্গা ভাস্কর্য।

বাংলাদেশের রজশাহীর পোঠিয়ায় রণরঙ্গিনী দুর্গার টেরাকোটাটি বহুল আলোচিত একটি পোড়া মাটির ভাস্কর্য। এখানে দুর্গার যে বীর রসাত্মক মূর্তি তা আসলে সময়ের প্রতিধ্বনি বলে অনেকে মনে করেন

শ্রীচৈতন্য উত্তরকালে মানুষের মনে সমাজ চেতনার বৃদ্ধি ঘটে। একটা আপাত উদার ধর্মীয় বাতাবরণ তৈরি হয়। সম্ভবত বৈষ্ণব দেবতার মন্দিরে মন্দিরে দুর্গার টেরাকোটাগুলি তারই উদাহরণ। চৈতন্য উত্তর সময়ে কৃষ্ণ লীলার ভেতর টেরাকোটাতে গোপীদের বস্ত্র হরণ, কৃষ্ণের কালীয় দমন, কৃষ্ণের নৌকা বিলাস, রামায়ণ থেকে লঙকার যুদ্ধ, মায়ামৃগ ছলনা, শূর্পনখার নাক কাটার সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছেন দেবী দুর্গা।

মেদিনীপুরের ভেতর উত্তর পূর্ব আর মধ্য মেদিনীপররের ইঁটের মন্দিরগুলিতে টেরাকোটার ফলক অপূর্ব নান্দনিকতার জন্ম দিয়েছে। যেমন পাঁশকুড়ার শ্যামবল্লভপুরে উনিশ শতকে তৈরি  মন্দিরে আছেন অষ্টাদশভূজা দেবীর টেরাকোটা। দুর্গার টেরাকোটাটির নিচে কমলে মামিনী।

দাসপরের গোবিন্দনগরের চেঁচুয়াতে রাধাগোবিন্দের পঞ্চরত্ন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা ১৭৮১। সেখানেও টেরাকোটায় আছেন দুর্গা। এই দাসপুরেরই পঞ্চরত্ন লক্ষ্মী জনার্দণ মন্দিরে টেরাকোটায় পরিবারের সাথে দুর্গা আছেন টেরাকোটায়। ঘাটালের চাউলিতে শীতলানন্দ আটচালা শিব মন্দিরের টেরাকোটায় দুর্গা আছেন। চার হাতযুক্ত দুর্গা আছেন গনেশ কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে কেশপুরের বাগরুই গ্রামে মাইতিদের লক্ষ্মীবরাহের নবরত্ন মন্দিরে।

দাসপুরের ব্রাহ্মণবসানে শ্রীধর আটচালা মন্দিরের টেরাকোটাতেও আমরা দুর্গার সন্ধান পাই। গোয়ালতোড়ের ভট্টগ্রামে দামোদর মন্দিরের আটচালায় যে টেরাকোটা আছে তার অন্যতম বিষয় দেবী দুর্গা। লালগড়ের বিনপুরে রাধারমণ মন্দিরের টেরাকোটা বা দাসপুরের সৌলাল গ্রামের ভূঞাদের মন্দিরে দুর্গা টেরাকোটার অন্যতম বিষয়।

হগলি জেলার আঁটপুরের রাধাগোবিন্দ মন্দিরে সপরিবারে দুর্গা যেমন আছেন, তেমনি একক দুর্গার সন্ধানও আমরা টেরাকোটার ভেতর পাই। হরিপালের দ্বারহাট্টার রাজরাজেশ্বর মন্দিরের নির্মাণ ১৭২৮।  এখানেও দশভূজার টেরাকোটা আছে। সোমড়াবাজারের সুখাড়িয়ায় মুস্তৌফিদের আনন্দময়ী মন্দির বা বাঁশবেড়িয়ার অনন্ত বাসদেব মন্দির টেরাকোটায় আছেন দুর্গা। গোঘাটের  বালি দেওয়ানগঞ্জে জোড় বাংলা রীতির নবরত্ন মন্দিরের গায়ে রয়েছেন সপরিবারে  দুর্গা। মন্দিরটিতে ঢোকার উপরের দিকে যে প্যানেল সেখানে দুর্গা আছেন সপরিবারে । গবেষকরা মনে করেন এইটিই সম্ভবত সবচেয়ে বড় দুর্গার  টেরাকোটা।

বাংলার মন্দিরে মন্দিরে আঠারো উনিশ শতকে দুর্গাকে সপরিবারে টেরাকোটায় স্থাপন একটা যেন রেওয়াজ হয়ে উঠেছিল। আসলে দুর্গা পুজোর ব্যাপক প্রসার যে বাবু কেন্দ্রিক জমিদার বাড়ি গুলিতে, তাঁরাই অধিকাংশ মন্দিরগুলির নির্মাতা। তাদের বাড়িগুলির দুর্গাপুজোর ঢল ক্রমে সর্বজনীন রূপ নেয়। ফলে বাঙালির প্রধান উৎসব যে দুর্গাপুজো তার উৎস যদি জমিদার বা বাবু শ্রেণির বাড়িতে হয়, তাদের প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের টেরাকোটায় দুর্গা থাকবেন সেটাই তো স্বাভাবিক।

কিন্তু দুঃখের বিষয় ঠিক ঠাক প্রযত্নের অভাবে মন্দিরের টেরাকোটাগুলি বেশিরভাগ জায়গায় ধ্বংসের মুখোমুখি। আশু প্রয়োজন সংরক্ষণের। একটি মন্দির বা মন্দিরের টেরাকোটা ধ্বংস মানে আমাদের ইতিহাস বা অতীতের ধ্বংস। এই বোধ যদি না আসে তবে আর বেশিদিন নেই যখন তলে রাখা আলোকচিত্র ছাড়া অতীতের মন্দির টেরাকোটাকে ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য আমরা হারাবো।

 

তথ্যঋণ

১ তোফায়েন আহমদ / আমাদের প্রাচীন শিল্প / ঢাকা / বাংলা আকাদেমি /১৯৯২

২. গোপীকান্ত কোঙার / সম্পাদিত / বর্ধমান সমগ্র / ৪র্থ খন্ড / কলকাতা / দে বুক স্টোর

৩. বিনয় ঘোষ / পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি / ৩য় খন্ড / কলকাতা / প্রকাশ ভবন /১৯৮০

৪. নীহার ঘোষ ( ভাষান্তর শাশ্বতী ঘোষ ও গীতা নিয়োগী ) / বাংলার মন্দির শিল্প শৈলী, অন্তমধ্য যুগ / কলকাতা / অমর ভারতী /২০১২

৫. শ্রীলা বসু ও অভ্র বসু / বাংলার টেরাকোটা মন্দির আখ্যান ও অলংকরণ / কলকাতা / সিগনেট প্রেস /২০১৫

৬. প্রণব রায় / বাংলার টেরাকোটা মন্দির স্থাপত্য ও ভাস্কর্য, মেদিনীপর / পূর্বাদ্রি প্রকাশনী /১৯৯৮

৭ .হিতেশরঞ্জন সান্যাল /  বাংলার মনদির / কলকাতা / কারিগর প্রকাশনী /২০১৫