Rabindranath Tagore:আজ ২৫ শে বৈশাখ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম বার্ষিকীতে তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য - Pralipta


প্রলিপ্ত ডেস্ক:
দেশের মধ্যে সাহিত্যে প্রথম নোবেল জয়ী মনীষী হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৬৩তম জন্ম বার্ষিকীতে আসুন জেনে নেওয়া যাক তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

১) রবীন্দ্রনাথের জন্ম দিনকে ঘিরে মতানৈক্য। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তাঁর জন্ম দিন ২৫ বৈশাখ। সেই হিসাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি বছর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হয় ৮ অথবা ৯ মে পালন করা হয় জন্মদিন। কিন্তু দেশের বাকি অংশে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালন করা হয় গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৭ মে।

২) প্রকাশক উইলিয়ম রথেনস্টেইন ছিলেন ঠাকুর পরিবারের বন্ধু। তিনি ১৯১২ সালে লন্ডন ভ্রমণের সময় ‘গীতাঞ্জলি’র অনুবাদ রথেনটেইনকে দিয়েছিলেন। রথেনস্টেইন রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মুগ্ধ হন। তিনি এজরা পাউন্ড, ডব্লিউবি ইয়েটসের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় করিয়ে দেন।

৩) ১৯১৩ সালে নোবেল পাওয়ার পর তিনিই হয়েছিলেন প্রথম অ-ইউরোপীয় সাহিত্যিক, যিনি এই পুরস্কার জিতেছিলেন। ‘গীতাঞ্জলি’র পূর্ণাঙ্গ সংস্কার বেরনোর পর তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।

৪) বালক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজগৃহে প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি কুস্তিবিদ্যাও শিখতেন। তাঁর কুস্তি শিক্ষকের নাম ছিল হিরা সিং।

৫) ২০০৪ সালে রবীন্দ্রনাথের নোবেল পদকটি শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণ থেকে চুরি হয়ে যায়।

৬) তিনি ৬০ বছর বয়সে চিত্রাঙ্কন শুরু করেন। আবার সেই সব কাজের বহু সফল প্রদর্শনীয়ও হয়।

৭) তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিশেষ পছন্দ করতেন না। তিনি তাঁর দাদা হেমেন্দ্রনাথের কাছ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন। তিনি কোনো দিন কলেজে যাননি।

৮) রবীন্দ্রনাথ আর মহাত্মা গান্ধীর মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। এমনকী গান্ধীজিকে জাতির জনক উপাধি রবীন্দ্রনাথই দিয়ে ছিলেন।

৯) ১৯৩০ থেকে ১৯৩১ সালের মধ্যে আইনস্টাইনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ চার বার দেখা করেন। একে অপরের আবিষ্কার আর সৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তাঁরা।

১০) আমরা প্রায় অনেকেই জানি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাঁচটি ছদ্মনাম আছে। যা হল যথাক্রমে ভানুসিংহ, আন্নাকালী পাকড়াশী, অকপটচন্দ্র লস্কর, দিকশূন্য ভট্টাচার্য এবং ষষ্ঠীচরণ দেব শর্মা। কিন্তু এছাড়াও অনেকগুলো ছদ্মনাম তিনি ব্যবহার করতেন যা অনেকের অজানা, তা হল- নবীন কিশোর শর্মণ, বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ, শ্রীমতী কনিষ্ঠা, শ্রীমতী মধ্যমা। ১৯২৪ সালে ৮ মে কবিগুরু তাঁর ৬৩ তম জন্মদিন পালন করেন চিন দেশে। সেইজন্য সেই দেশের সরকার তাঁর নাম দেন ‘চু চেন তাং’।

১১) ভারতের ‘জণ গণ মন অধিনায়ক জয় হে’ এবং বাংলাদেশের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীতদ্বয় কবিগুরুর লেখা। এই ঘটনা বিশ্ব সাহিত্যে প্রায় বিরল ঘটনা। কিন্তু মজার বিষয় হল, ভারতের অপর এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা। শান্তিনিকেতনে রবি ঠাকুরের শিষ্য আনন্দ সিমারানকুল (যিনি শ্রীলঙ্কার নাগরিক) রবিঠাকুরের গীতবিতানের একটি গানের অনুকরণেই শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত রচনা করেন, যা হল- ‘মাতা শ্রীলঙ্কা, নম নম নম নম মাতা, সুন্দর শ্রী বরনী।’

১২) জানেন কি নোবেল পুরস্কারে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে তিনি কৃষকদের সুবিধার্থে ‘পতিসর কৃষি ব্যাঙ্ক’ নামে একটা ব্যাঙ্ক তৈরি করেন। বাড়ীর পাশাপাশি এলাকার সেতু, সাঁকো মেরামত করেন।


তথ্যসূত্র ও ছবি: ইন্টারনেট সূত্রে প্রাপ্ত