শুক্লা কর্মকার , উত্তর ২৪ পরগনা : এখন সারা বিশ্ব COVID 19 নিয়ে দিশেহারা । সংবাদ মাধ্যম ব্যস্ত করোনা আতংকিত খবর নিয়ে । সাধারন মানুষের মধ্যে আতংকের ছাপ সর্বত্র বর্ণিত । লকডাউন এর রাজ্যে প্রকৃতি যেমন সাজে ব্যস্ত ঠিক তেমন ই কেউ সাজানো প্রকৃতি কে অগোছালো করতে পরিকল্পনায় মত্ত । কিছুদিন আগে মানুষ ভীত ছিল গাছের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাওয়ায় প্রকৃতির ভারসাম্য হ্রাস পাচ্ছে এই ভেবে । সরকার ও ব্যাপার টি নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হয় । চতুর্দিকে গাছ লাগানোর প্রকল্প চালু হয় ।
গাছ লাগাও প্রাণ বাঁচাও
সম্প্রতি গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অভাব হচ্ছে অক্সিজেন এর । মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে । অথচ কিছু মানুষ কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থের জন্য গাছগুলো কেটে মুনাফা লুটছিলো। সরকার এ ব্যাপার এ সচেতন থাকায় শাস্তি দেবার আইন চালু করে ।
এখন প্রশ্ন হলো তাতে কি কোনো সুরাহা হলো ?
সূত্রে খবর , তাতে কিছুটা গাছ কাটা কম হলেও এইসব সচেতন সার্থপর মানুষ গোপনে নিজেদের কাজ কিছুটা হলেও বজায় রেখেছে । সুযোগ পেলেই চলছে গাছ কাটা স্থানে স্থানে ।
সুযোগ ঠিক কখন পায় ?
আমরা সবাই জানি কিছুদিন আগে একটা ঝড় হয় । তাতে বেশ কিছু গাছ পরে যায় । যদিও পরে যাওয়া গাছ কাটা অন্যায় নয় । অবাক করা কথা হলো পরবর্তী কালে ঝড় হলে আরোও কিছু গাছ পড়ার সম্ভাবনা আছে দেখিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে । কেউ এদের পরিকল্পনার নাগাল পাচ্ছে না , আবার কেউ পেয়েও নীরব দর্শক । কারণ যাইহোক , প্রশ্ন একটাই - এরা কবে লজ্জিত হবে নিজেদের বর্বরতা আচরণের জন্যে ?
একটি গান আমরা সবাই জানি -
মানুষ খুন হলে পরে , মানুষই তার বিচার করে
নেইতো খুনির মাপ ।
তবে কেন পায়না বিচার , নিহত গোলাপ ।
শুধু গোলাপ না , কবে বিচার পাবে সেই সমস্ত গাছগুলো ? কবে শাস্তি পাবে সেই সমস্ত খুনিরা ? হয়তো অপেক্ষার আদালতে আছে গাছগুলো, বিচারপতির বিচারের অপেক্ষায় । আদেয় কি রায় বেরোবে ? আচ্ছা এই কেসের আইনজীবী কি করোনা হলো ?