Hooghly Primary School: পড়ানোর আগে ব্যবহৃত কন্ডোম কুড়িয়ে জড়ো করছেন শিক্ষকরা, হুগলির স্কুলের ছবি দেখলে চমকে যাবেন! - Pralipta

প্রলিপ্ত ডেস্ক: স্কুলে এসে ছাত্র পড়ানো নয়, শিক্ষকদের প্রথমেই কুড়োতে হয় খালি মদের বোতল থেকে গ্লাস, মদের চাট, এমনকি কন্ডোমও। নিত্যদিন এমনই অভিজ্ঞতা হচ্ছে আরতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। হুগলীর পান্ডুয়া থানার অন্তর্গত আরতি গ্রামের একদম শেষ প্রান্তে অবস্থিত বিদ্যালয়টি।

ফাঁকা মাঠের উপর স্কুল। শুরু হয় সকাল ১০টায়। চলে বিকেলে পর্যন্ত। আর স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, তারপর সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় অসামাজিক কাজকর্ম। স্কুলের ছাদে থেকে স্কুল চত্বর, সর্বত্র বসে মদের আসর। মাঝেমধ্যে পাওয়া যায় কন্ডোমও। শিক্ষকদের তাই স্কুলে এসেই রোজদিন প্রথম কাজ, মাঠ থেকে ছাদ, ঘুরে ঘুরে মদের বোতল, গ্লাস, অবশিষ্ট চাট, ফেলে রাখা কন্ডোম জড়ো করে ফেলা।

শিক্ষকদের অভিযোগ, নির্জন ফাঁকা জায়গায় স্কুলটি হওয়ায় তা সমাজবিরোধীদের নিরাপদ আস্তানা হয়ে উঠেছে। স্কুলে কোনও পাঁচিল নেই। আর সেই কারণেই সূর্য ডুবলে অন্ধকার নামলেই স্কুলটি সমাজবিরোধীদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। স্কুলে পড়ুয়া ১০৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ জন। দিনেরবেলা পড়াশোনা হয় ঠিকঠাকই। কিন্তু তারপর সন্ধ্যা নামলেই রাতের অন্ধকারে স্কুলভবনটি হয়ে ওঠে দুষ্কৃতীদের আস্তানা। স্কুলটিকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরার জন্য বহুবার বহুজনের কাছে দরবার করেছেন তাঁরা। সর্বস্তরেই অনুরোধ করেছেন। সকলেই প্রাপ্তি স্বীকার করেছে। তবে কার্যকর হয়নি এখনও। স্কুলে সীমানায় পাঁচিল হয়নি।


যদিও ব্লক শিক্ষা কর্মধ্যক্ষর বক্তব্য, বহু স্কুলেই পাঁচিল দেওয়ার কাজ চলছে। আরতি স্কুলেরও বিষয়টি তাদের মাথায় আছে। আশা করা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, এতটা দেরিতে কেন? একটা শিক্ষাঙ্গন সমাজবিরোধীদের বিচরণ ক্ষেত্র হয়ে ওঠার পরেও, সেই স্কুলে পাঁচিল দেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা কি বোঝেনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ? স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামের শেষ মাথায় স্কুল। নেই পাঁচিল। আর সেটারই সুযোগ নিচ্ছেন সমাজবিরোধীরা। দিনের পর দিন ধরে চলছে দেদার অসামাজিক কাজকর্ম। পাঁচিল হলে এটা আটকানো যেত।


স্কুল শিক্ষকরা বলছেন, মদের বোতল ফেলা তাঁদের নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিস প্রশাসন মাঝেমধ্যে মোবাইল চেকিং করতে আসে ঠিকই। কিন্তু অসামাজিক কাজকর্ম চলছে যথারীতি। পাশাপাশি, স্কুলের ক্ষয়ক্ষতি করাও চলছে। কলের পাইপ থেকে শৌচালয়ও ভেঙেচুরে রেখে যায় সমাজবিরোধীরা।



Source: Zee 24 Ghanta