Kali Puja:২৫০ বছরের রীতি মেনে চতুর্দশীতে পূজিত হন আনারবাটির বড় মা - Pralipta

সুমন্ত বড়াল: জাঙ্গিপাড়ার আঁটপুরের আনরবাটী গ্রামের কালী পুজো শ্যামাকালীর পুজোর দিন হয়না চতুর্দশী তিথিতে শুরু হয়। ওই তিথিতেই পুজো শেষ করে সূর্যোদয়ের আগেই বিসর্জন হয় মায়ের। আনার বাটি গ্রামের ছেলে কালী, মেজো কালী,  নেড়া কালী সহ আরো পাঁচটি কালী পুজো হয়। তবে যে মা এর নামে এই গ্রামের পরিচয় তিনি হলেন দ্বিভূজা নীললোহিত রক্ষাকালী বড় কালী মাতা। আড়াইশো বছরের প্রাচীন বড় কালী মাতাকে নিয়ে রয়েছে নানা জনশ্রুতি। আটপুর এর ইতিহাস নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চর্চা করছেন শ্রী সুদীপ মিত্র। সুদীপ এর সাথে আলাপ চারিতায় হদিশ মেলে বড় মা কে নিয়ে নানা লোক শ্রুতির। 


কথিত আছে, এই গ্রামএকবার মহামারী আক্রান্ত হয়েছিল। তখন গ্রামবাসীরা গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু করে। দাহ করার পর্যন্ত লোক মিলছিল না গ্রামে। জনৈক  গ্রামবাসী হরিপ্রবোধ মিত্র তাঁর ঠাকুরমাকে নিয়ে গ্রাম থেকে চলে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় এক মহিলার সঙ্গে দেখা হয় তাঁদের। মহিলা তাকে গ্রাম ছেড়ে যেতে নিষেধ করে এবং স্থানীয় শ্মশানের মাঠে  পুজো শুরুর পরামর্শ দেন। পুজো শুরুর পর মহামারী মুক্ত হয় গ্রাম। সেই থেকে শুরু আজও মহাসমারোহে পূজিত হচ্ছেন বড়মা।

কালীর নির্দেশ মেনে আজও মণ্ডপে তালপাতা ব্যবহার করা হয়। 
সকাল থেকেই আনার বাটি গ্রামে মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মত। শুধু আনারবাটি নয় বহু দূর থেকে মানুষ জন ভিড় জমান বড় মার থানে। প্রতিমা ভক্তদের কাধে চড়ে মণ্ডপে আসে রাতে কিন্তু তার আগেই পুজো দান, দন্ডীকাটা, জল ঢালা চলে সকাল থেকে। লক্ষ্যণীয় বিষয় যখন মা এর থানে পুজো চলছে তখন স্থানীয় মৃৎশিল্পীর ঘরে চলছে ১৫ ফুটের মা এত মূর্তি গড়ার কাজ। আর ভক্তরা সেই মূর্তিতেই পুজো করছেন। ধুপ বাতি মালাতে মৃৎশিল্পীর ঘর যেন দেবীর থান। আনার বাটির বড় মা এই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। আসলে এক রাতের মা এর সান্নিধ্য তাই এক মূহুর্ত নষ্ট করতে চায়না ভক্তকূল। আনার বাটি গ্রামের এই কালী পুজো আর এক ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম এই গ্রামে শ্যামা কালী পুজো হয়না। এখানে কালী নীলাভ বর্ণের।


গবেষণা এবং স্বত্বাধিকার: প্রলিপ্ত টিম