Lakshmi Puja:এ এক অন্য রকম গ্রাম, যা মেতে ওঠে লক্ষ্মী পুজোয় - Pralipta

সুমন্ত বড়াল: এ এক অন্য রকম গ্রাম, যে গ্রাম দুর্গাপুজো তে মেতে ওঠে না অপেক্ষায় থাকে দুর্গাপুজো শেষের। আর তারপরই এই গ্রামের উৎসব শুরু। হুগলী জেলার লক্ষ্মীগ্রাম রানাবাঁধ। লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজ তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড় পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাবাঁধ ও তার আশে পাশের গ্রামগুলিতে। প্রায় তিরিশ বছর ধরে চলছে এই প্রথা। শুরুর দিকে সাবেকী পুজো আয়োজন হলেও বর্তমানে লেগেছে থিমের ছোঁয়া । এই গ্রামে গেলে চোখে পড়বে নানা সাজের মণ্ডপ , সেখানে কাল্পনিক মন্দির, পাটকাঠির মন্ডপ থেকে চন্দ্রযান, কেদারনাথ মন্দির কিংবা সহজ পাঠ বর্ণপরিচয় সবই চোখে পড়বে। মজার বিষয় গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দারাই দুর্গা নয়, লক্ষ্মী আরাধনায় মেতে ওঠেন। 

বেশ কয়েকটি গ্রামে হয়না দুর্গা বন্দনা। কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় লক্ষ্মী বন্দনায় মেতে ওঠেন এই এলাকার সাধরণ মানুষ। মূলত তারকেশ্বরের জগন্নাথ পুর, রানাবাঁধ, বেলবাঁধ এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই লক্ষ্মী উৎসব । এই ছোট্ট জনপদে ১৬ টি পুজোর আয়োজন করা হয় বিভিন্ন পুজো কমিটির উদ্যোগে। প্রতিটি পুজো মণ্ডপ বৈচিত্র্য পূর্ণ । বিশেষ উল্লেখ্য এই অঞ্চলের প্রতিমার মুখশ্রী। 

স্থানীয় বাসিন্দা সৈকত কুন্ডু জানান, গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এই কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। যাদের মধ্যে সিংহভাগই ধান চাষী তাই সকলে মিলেই মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। আগে সাবেকি পুজো হতো কিন্তু যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন থিমের পুজো করা হচ্ছে।

 বিগত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার লক্ষ্মী পুজোয় থিমের বৈচিত্র এতটাই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে যে কারণে শুধু হুগলি জেলা নয় পার্শ্ববর্তী জেলা হাওড়া, বর্ধমান সহ বেশ কয়েকটি জেলা থেকে বহু মানুষের সমাগম হয়। ছয় দিন ধরে চলে মেলা।

এক কথায় শারদ উৎসবের রেশ কে ধরে রেখে লক্ষ্মী গ্রাম রানাবাঁধের এই কয়েক দিনের উৎস ব মুখরতা যেন বলে যায় শেষ হয়েও হইল না শেষ। 

তথ্যসূত্র ও ছবি: প্রলিপ্ত টিম