Snan Yatra : জগন্নাথের স্নান যাত্রা কী? এবং কীভাবে হয়? - Pralipta 


প্রলিপ্ত ডেস্ক : জগন্নাথ দেব হলেন স্বয়ং নারায়ণ। জগন্নাথ শব্দের অর্থ হলো এই জগতের ঈশ্বর।স্কন্দপুরাণে জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে গুন্ডিচা মন্দির অর্থাৎ জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে ভগবানের শ্রীবিগ্রহ কে যে দর্শন করবেন তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান ফল লাভ করবেন।

জৈষ্ঠ পূর্ণিমায় এই স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানটি হয়। যদি কেউ ভক্তিসহকারে একবার স্নানযাত্রা মহোৎসব দর্শন করেন তিনি এই সংসারের বন্ধন থেকে সুনিশ্চিতভাবে মুক্তি লাভ করবেন। ঋষি জৈমিনি বলেছেন যিনি এই স্নানযাত্রা দর্শন করবেন তিনি সমস্ত তীর্থের স্নানের থেকে শতগুণ অধিক ফল লাভ করবে।

স্কন্দ পুরাণ অনুসারে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন জগন্নাথ দেবের কাঠের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে। তখন থেকে এই স্নান যাত্রা উৎসব শুরু। স্নানযাত্রাকে জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব তিথি বা জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়। এইদিন জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা দেবীকে বিশেষভাবে তৈরি বেদীতে নিয়ে আসা হয়। মন্দির প্রাঙ্গণে বিশেষভাবে তৈরি করা এই বেদীকে স্নান বেদী বলা হয়। তোরণ পতাকা সমস্ত কিছু দিয়ে সুসজ্জিত ধূপ দীপ এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয় বিগ্রহকে।স্নানযাত্রার পর জগন্নাথ দেবের মন্দির পনেরো দিন বন্ধ থাকে। পনেরো দিন পর নেত্রউৎসবে তার নয়ন খোলে বলে মনে করা হয়। পুরীকে মর্তের বৈকুণ্ঠ বা দ্বারোকা বলে মনে করা হয়।

স্নানযাত্রার পূর্বে জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রা দেবী কে রেশমি কাপড় দিয়ে আবৃত করা হয়। ১০৮ জলপূর্ণ ঘড়া দিয়ে বিগ্রহের অভিষেক সম্পন্ন হয়। উৎসবের পর জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা থেকে আষাঢ়ী আমাবস্যা পর্যন্ত ভগবানকে জনসাধারণের থেকে দূরে রাখা হয়। এই কয়দিন ভগবানের নিত্যপুজা শুধু চালু থাকে। পনেরো দিন পর ভগবানকে আবার নবসাজে ফিরিয়ে আনা হয়। আবার জগন্নাথ দেবকে সবার সামনে জনসাধারণের দর্শনের জন্য নিয়ে আসা হয়।

বলা হয় নাকি স্নানযাত্রার পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসে। তাই রথযাত্রার পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেন, আবার রথের দিন আত্মপ্রকাশ করেন এবং রাজবেশে সামনে আসেন।

( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক ৷ এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)