অঙ্কুর মজুমদার: চুঁচুড়ায় খাদিনা মোড়ের কাছে মহত্মা গান্ধী রোডের ধারে অনেকটা জায়গা জুড়ে এই মন্দির। মন্দিরটির প্রাচীনত্ব সম্পর্কে সন্দেহের অবকাশ নেই।
একসময় জঙ্গল বেষ্টিত অংশে ভগ্ন রুপে বিলীন হয়ে যেতে বসেছিল তবে ভক্ত, সেবক এবং স্থানীয় মানুষের উদ্যোগে ও উৎসাহে মন্দিরটি নতুনভাবে গড়ে ওঠে। নবনির্মিত মন্দিরে অবিকৃত আদিমূর্তিটি 'কল্যাণময়ী করালবদনী' রুপে কল্পিত এবং বন্যভাবের যে আদিম ছাপ তা যথাযথ যুক্ত হয়েছে। বুনোকালী এই বিগ্রহ মূর্তি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র এক প্রদ্বিতীয় মূর্তি। অতীতে জঙ্গলের মধ্যে এই কালীমূর্তিটি ছিল এবং তখন 'ডাকাত কালী' নামে তা খ্যাত ছিল।
শোনা যায় ধনা পাশোয়ান এই মূর্তিকে প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরে সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী মন্দির নির্মাণ করে শাস্ত্রমতে পূজা করে বুনোকালি মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে মায়ের নিত্য পূজা হয়। নবনির্মিত মন্দিরে কালীপূজোয় অন্নকূট উৎসব পালন হয়। বহু ভক্তের সমাগম হয় এবং ভক্তেরা অন্নভোগে অংশগ্রহণ করে থাকেন।