অধিনায়ক পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তন হলো না কলকাতার - Pralipta


আকাশ ঘোষ, কলকাতা : ক্যাপ্টেন পরিবর্তন হলেও কেকেআর (KKR) এর ফলে কোনো পরিবর্তন হলো না। সঙ্গে নারিনের না থাকাও কেকেআর এর টিম এ যে কতটা সমস্যা হচ্ছে সেটা পুরো বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার আস্তে আস্তে ম্যাচ বের করে নিয়ে চলে যায়। যার ফলে মুম্বাই আবার প্রথম স্থানে চলে গেল।

ক্যাপ্টেন চেঞ্জ হয়েও কলকাতা ব্যাটিং এর পরিবর্তন তেমন হলো না। ওপেনিং জুটির বারবার পরিবর্তনের ফলে তার খারাপ প্রভাব যে টিমের উপর পড়ছে সেটা কলকাতার খেলায় স্পষ্ট ফুটে উঠছে। রাহুল ৯ ম্যাচে ৭ রান করে ফিরে গেছে। শুভনাম গিল ধীরে ধীরে শুরু করলেও বড়ো রান করতে ব্যর্থ হয়। শুভনাম ২৩ বলে ২১ রান করে রাহুল চাহারের বলে প্যাভিলিয়নেে ফিরে যায়। কার্তিক ক্যাপ্টেন্সি ছাড়লেও বড়ো রান করতে পারলো না। কার্তিক এর সঙ্গে রানাও আজ বড়ো রান তৈরি করতে পারলো না। রানা ৬ রান করে Coulter-Nile এর বলে ও কার্তিক ৪ রান করে রাহুল এই বলে একটা সুইপ খেলতে গিয়ে আউট হয়ে। রাসেল মাসেল এখন ও নিজের ফর্মে ফিরে পেলো না। রাসেল এর মার মনে হচ্ছে রাসেল বাড়িতে লক করে আইপিএল খেলতে এসেছে। কিন্তু কলকাতা টপ মিডল অর্ডার ব্যর্থ হলেও কলকাতার হওয়ার ত্রাতা হয়ে নামে প্যাট কম্মিন্স। প্যাট কম্মিন্স ৭ নম্বরে নেমে একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলে। প্যাট কম্মিন্স ৫৩ রান করে ৩৬ বলে যেটা সাজিয়ে ছিল ৫ টা চার ও ২ টো ছয় দিয়ে। প্যাট এর সাথে যোগ্য সহযোগিতা করে নতুন ক্যাপ্টেন মর্গ্যান। মর্গ্যান এসে ২৯ রানে ৩৯ রান করে। যার উপর ভর করে কলকাতা ১৪৮ রান অব্দি পৌঁছায়। মুম্বাইয়ের বোলিং লাইনে আপ কে শ্রেয় দিতে হবে কলকাতাকে এত কম রানের মধ্যে আটকে দেবার জন্য। বেশি শ্রেয় যাবে রাহুল চাহার এর উপর কার্তিক ও গিলের মতো দুটো বড়ো উইকেট নেবার জন্য। সঙ্গে Coulter-Nile, বুমরাহ ও বোল্ট একটা করে উইকেট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

এত কম রান তাড়া করতে নেমেও মুম্বাইয়ের এর দুই ওপেনার প্রথমে ধীরে শুরু করলেও। রোহিত ও ডি'কক আস্তে আস্তে নিজেদের সেট করে তারপর বড়ো বড়ো শত খেলতে থাকে। একদিকে রোহিত আস্তে খেলে গেল ডি'কক নিজের ঝড়ের ইনিংস খেলতে থাকে। রোহিত ও ডি'কক মিলে ৯৪ রানের পার্টনারশিপ করে। কিন্তু রোহিতকে ফিরে যেতে হয় ৩৫ রান করে মাভি যখন আজকের ম্যাচের প্রথম ওভার ১১তম ওভারে করতে আসে। কিন্তু ডি'কক নিজের কাজ অন্যদিক থেকে করে যেতে থাকে। ডি'কক কে দেখে মনে হচ্ছিল নিজের ক্লাসের সাথে সাথে দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে। ডি'কক ৯ চার ও ৩ টে ছয় দিয়ে নিজের ৭৮ রানের ইনিংসটা তৈরি করে ছিলো। এর মাঝে বরুন চক্রবর্তী সূর্যকুমারকে প্যাভিলিয়নে পাঠালে। বাকি যা ছিল হার্দিক পান্ডিয়া নেমে তা করে দেয় ১১ বলে ২১ রান করে। যার উপর ভর করে কলকাতা কে ৮ উইকেটে হারালো মুম্বাই।
ক্যাপ্টেন পরিবর্তন এরপরও কলকাতার টিমে উপর কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেন ক্রিস গ্রীন নামলো বোঝা গেল না। কুলদীপকে এত বাজে বোলার যে কেকেআর এর দলে জায়গা পাচ্ছে না। সঙ্গে ওপেনিং জুটি বারবার পরিবর্তন করে কি লাভ হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। সঙ্গে এত পথে মাভির কে বোলিং এ নিয়ে আসার মনে বুঝলাম না। এই জিনিসগুলো ঠিক না করলে কেকেআর এর পরের রাস্তা খুব কঠিন।