Ram Navami: " শ্রী " রামের পুরে রামসীতার দোল উৎসব - Pralipta


সুমন্ত বড়াল:
রাম নবমীর উৎসবের ধূমধাম বছর বছর বাড়ছে , গৈরিক সাজে সমবেত ভক্তের জৌলুষের শোভাযাত্রায় জয় শ্রী রামে ধ্বনি মুখরিত হচ্ছে গলি থেকে রাজপথ , কিন্তু এ সবের থেকে অনেক টাই অন্যভাবে প্রাচীন রীতি নিয়ম মেনে আজও রাম নবমী তে রাম সীতার দোল পালিত হচ্ছে শ্রীরামপুরের প্রাচীন রামসীতা মন্দিরে।



দোলের আগের দিন যেমন চাঁচড় বা হোলিকা দহনের রীতি শ্রীরামপুরের রামসীতা মন্দিরে তেমনই রামনবমীর আগের দিন পালিত হয় রাবণ দহন। খড়ের দশানন তৈরী করে তাতে অগ্নি সংযোগ করা হয়। সারা দেশে দশেরা তে যে ছবি দেখা যায় হুগলীর শ্রীরামপুরে সেই ছবি চোখে পরে রাম নবমীর আগের দিন সন্ধ্যেতে। এই রীতি একেবারেই ব্যাতিক্রম। আর রামনবমীর দিন ভোর থেকে চলে পূজো অর্চনা ।গর্ভগৃহ থেকে শ্রী বিগ্রহ গুলিকে নিয়ে আসা হয় গর্ভ গৃহ সংলগ্ন চাতালে। শয়ে শয়ে ভক্তরা আবীরে গুলালে রাঙিয়ে দেয় সীতাপতি কে রেঙে ওঠেন জানকী। ভক্ত ভগবানে মিলনে মেতে ওঠে মন্দির চত্বর। জয় শ্রীরামের গগন ভেদী হুঙ্কার এ মন্দিরে বিরল তবে রঘুবীরের জয় ধ্বনী তে মুখরিত হয় মন্দির চত্বর রামসীতা লেন ছাপিয়ে গোটা শ্রীরামপুর চত্বর। আর হবেনাই বা কেন। এই মন্দিরের নামেই যে নামকরণ এই প্রাচীনরাম নবমীর উৎসবের ধূমধাম বছর বছর বাড়ছে , গৈরিক সাথে সমবেত ভক্তের জৌলুষের শোভাযাত্রায় জয় শ্রী রামে ধ্বনি মুখরিত হচ্ছে গলি থেকে রাজপথ , কিন্তু এ সবের থেকে অনেক টাই অন্যভাবে প্রাচীন রীতি নিয়ম মেনে আজও রাম নবমী তে রাম সীতার দোল পালিত হচ্ছে শ্রীরামপুরের প্রাচীন রামসীতা মন্দিরে।
দোলের আগের দিন যেমন ন্যাড়া পোড়া বা হোলিকা দহনের রীতি শ্রীরামপুরের রামসীতা মন্দিরে তেমনই রামনবমীর আগের দিন পালিত হয় রাবণ দহন। খড়ের দশানন তৈরী করে তাতে অগ্নি সংযোগ করা হয়।

 সারা দেশে দশেরা তে ছবি দেখা যায় হুগলীর শ্রীরামপুরে সেই ছবি চোখে পরে রাম নবমীর আগের দিন সন্ধ্যেতে। এই রীতি একেবারেই ব্যাতিক্রম। আর রামনবমীর দিন ভোর থেকে চলে পূজো অর্চনা ।গর্ভগৃহ থেকে শ্রী বিগ্রহ গুলিকে নিয়ে আসা হয় গর্ভ গৃহ সংলগ্ন চাতালে। শয়ে শয়ে ভক্তরা আবীরে গুলালে রাঙিয়ে দেয় সীতাপতি কে রেঙে ওঠেন জানকী। ভক্ত ভগবানে মিলনে মেতে ওঠে মন্দির চত্বর। জয় শ্রীরামের গগন ভেদী হুঙ্কার এ মন্দিরে বিরল তবে রঘুবীরের জয় ধ্বনী তে মুখরিত হয় মন্দির চত্বর রামসীতা লেন ছাপিয়ে গোটা শ্রীরামপুর শহর। আর হবেনাই বা কেন। এই মন্দিরের নামেই যে নামকরণ এই প্রাচীন শ্রীরামপুর শহরের। আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা কারী দের মতানুসারে এই রামসীতা মন্দিরের নাম অনুসারে এই শহরের নাম শ্রীরামপুর। শেওড়াফুলি রাজা মনোহরচন্দ্র রায়ের পুত্র রাজচন্দ্র ১৭৫৩ সালে তৈরি করেছিলেন এই মন্দিরটি। পাঁচ কাঠা জমির উপর গোলপাতার ছাউনি দিয়ে গড়ে উঠেছিলএই মন্দির। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রাম-সীতার অষ্টধাতুর মূর্তি। পরবর্তী কালে মন্দিরটি এক চালার হয়। তখন শ্রীপুর, গোপীনাথপুর ও মোহনপুর এই তিন গ্রামকে সংযুক্ত করে এর নামকরণ হয়েছিল শ্রীরামপুর।


এরপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল রাজার আমল পেরিয়ে ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে চলে যায় শ্রীরামপুর । দিনেমার দের আমলে ফ্রেডরীক নগর ব্রিটিশ শাসনকালে শ্রীরামপুর। শেওড়াফুলি রাজ রাজা রাজচন্দ্র এই রাম পুজোর পৌরোহিত্যের দায়িত্ব সঁপেছিলেন স্থানীয় রায় পরিবারের হাতে। সেই বংশের বর্তমান সদস্য চন্দ্রশেখর রায় এখন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। আড়াই শতক পেরিয়ে আজও এই মন্দিরের সমান নিষ্ঠার সাথে পালিত হয়ে চলেছে সকল উৎসব।


কিন্তু কালের নিয়মে মলিন্যের ছাপ পড়েছে এই মন্দিরে। অর্থের অভাব ও পরিচর্যার অভাব স্পট চোখে পরে এই মন্দির চত্বরে। স্থানীয় প্রশাসন থেকে সরকার সকলের কাছে বারবার দরবার করা হয়েছে। শ্রীরামপুর থেকে কয়েক শো মাইল দূরে অযোধ্যা তে রামমন্দিরের জৌলুষ এর ঝলক সারা দেশে প্রতিফলিত হলেও সেই ছটায় আলোকিত হয়নি এই মন্দির। তবে আমরা আশা বাদী সকলের সহযোগী তায় পুরানো কৌলিন্য ফিরে পাবে রামসীতা মন্দির। আর আজকের মত সেদিন সারা রাজ্য বাসী তথা দেশবাসী কে সাথে নিয়ে রামনবমী তে মেতে উঠবে রামসীতার দোল উৎসবে। কৌসলেয় , সীতাপতি , দশগ্রীব শিরোহর , মর্যাদা পুরুষত্তোম,পরশময় এর জয়ধ্বনি তে মুখরিত হবে চরাচর।