সেঙ্গল প্রতীকটি অনেকগুলি উদ্দেশ্য পূরণ করে । রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে অন্য যেকোনও নেতার চেয়ে একটি ঘটনা বা বিষয়কে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারদর্শী। তামিলদের কাছে নিজেকে তুলে ধরতে সে রাজ্যের সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক এবং ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহারে তাঁর উদ্দেশ্য রাজনীতি-বর্জিত একেবারেই নয়।
দক্ষিণী কেতায় ধুতি পরা থেকে শুরু করে তামিলকে দেশের প্রাচীনতম ভাষা বলে দাবি করা, নিজেকে সে রাজ্যের শুভাকাঙ্খী হিসেবে তুলে ধরার কোনও চেষ্টাই তিনি হাতছাড়া করেননি। তারপরেই নতুন সংসদ ভবনে স্থাপিত সেঙ্গল তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
সেঙ্গল কী ?
সেঙ্গল দেশের স্বাধীনতার প্রতীক, সার্বভৌমত্বের রাজদণ্ড। যা ইংরেজ শাসনকে শেষ করে দেশের মুক্তির কথা বলে । স্বাধীনতার হস্তান্তরের সময় এই রাজদণ্ড তুলে দিয়েছিলেন শেষ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেন । রাজা গোপালাচারীর মস্তিষ্কপ্রসূত ওই প্রতীক তৈরির দায়িত্বে ছিল তিরুভাভাদুথুরাই মঠ । তামিল রাজ্যে গিয়ে ওই মঠের প্রসঙ্গও এসেছে মোদির স্তূতিবাক্যে।
ইতিহাসের পুনঃপ্রবর্তনের কথাও শুনিয়েছিলেন রাষ্টপ্রধান । রবিবার ওই সেঙ্গলই নতুন সংসদ ভবনে স্পিকারের চেয়ারের সামনে এটি স্থাপন করবেন তিনি । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, এটি মধ্যযুগীয় রাজবংশের সাম্রাজ্যিক চোলদের ঐতিহ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরকে বোঝাতে 14 আগস্ট, 1947-এ নেহরুর 'Tryst with Destiny' ভাষণের আগে উপস্থাপন করা হয়েছিল । সেসময় সেঙ্গলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, ইতিহাস ভুলে মাতামাতি হয়েছিল ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে । প্রজা অর্থাত্ দেশের জনগণের ক্ষমতার সেই প্রতীক গণতন্ত্রের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করাই শ্রেয়।
তথ্যসূত্র ও ছবি: ইন্টারনেট সূত্রে প্রাপ্ত