Michael Madhusudan Dutta:মাইকেল মধুসূদন দত্তের আজ ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী - Pralipta


প্রলিপ্ত ডেস্ক: আজ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মদিন। ১৮২৪ সালে ২৫ জানুয়ারি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ মাইকেল মধুসূদন দত্ত । কবির বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত আর মাতা জাহ্নবী দেবী। মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেছেন বিখ্যাত সনেট ‘কপোতাক্ষ নদ’।

কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাগরদাঁড়িতে আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা অনুষ্ঠিত হবে। জন্মদিন উপলক্ষে মধুকবির আবক্ষে মধুসূদন একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে।

মধুসূদন সাত বছর বয়সে কলকাতা যান। খিদিরপুর স্কুলে দুই বছর পড়ার পর ১৮৩৩ সালে কবি হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। বাংলা, ফরাসী ও সংস্কৃত ভাষায় শিক্ষা লাভ করেন। ১৮৪৪ সাল থেকে ১৮৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতার বিশব কলেজে অধ্যায়ন করেন। সেখানে তিনি গ্রিক, ল্যাটিন ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন। তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভুক্ত হাইস্কুলে শিক্ষাকতা করেন। মাদ্রাজ থেকে প্রকাশিত পত্রিকা মাদ্রাজ স্পেক্টেটর এর সহকারি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৬২ সালের ৯ জুন ব্যারিষ্টারি পড়ার জন্য তিনি বিলেত যান। ১৮৬৬ সালে তিনি ব্যারিষ্টারি পাশ করেন।

মাইকেল মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তিনি বাংলা সাহিত্যের পাশাপাশি ইংরেজি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রাখায় বিশ্ববাসী এই ধীমান কবিকে মনে রেখেছে কৃতজ্ঞচিত্তে। মধুসূদন দত্ত নাট্যকার হিসেবেই প্রথম বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে পদার্পণ করেন। ১৮৫৯ সালে তিনি রচনা করেন ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটক। এটিই প্রকৃত অর্থে বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম মৌলিক নাটক।

যদিও তার প্রথম ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ ‘The Captive Ladie’ কে ইংরেজরা তখন সাদরে গ্রহণ করেনি। কবি ১৮৫৩ সালে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ‘মাইকেল’ যুক্ত হয়। তিনি ‘পদ্মাবতী’ নাটক, ‘একেই বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ নামের দুটি প্রহসন, ‘মেঘনাদবধ কাব্য’, ‘ব্রজাঙ্গনাকাব্য’, ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক, ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’ ও ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ রচনা করেন। কলকাতার আলিপুর জেনারেল হাসপাতালে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র ও ছবি: ইন্টারনেট সূত্রে প্রাপ্ত