অঙ্কুর মজুমদার: করুণাময়ী কালী মন্দির বা কনকশালীর ভাট-বৌ এর মন্দির একসময় জনপ্রিয় ছিল। বর্তমানে অনেকের অজানা। ১৮০৮ খ্রীষ্টাব্দে মহেশচন্দ্র সোম শ্রী শ্রী করুনাময়ী দেবীর পাষানময়ী বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন তাঁর শ্যামবাবুর ঘাটের বসথ বাটির সামনে একটি মন্দির নির্মাণ করে। করুণাময়ী কাল কষ্টি পাথরের এবং শিবমূর্তি শ্বেতপাথর দ্বারা নির্মিত। এই মন্দিরের বয়স প্রায় দুশো বছর।
বর্তমানে মন্দিরের প্রবেশদ্বারে লেখা আছে ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে (বাংলার ১২১৮ বঙ্গাব্দে) মন্দিরের প্রতিষ্ঠার সময়কাল। মন্দিরের সামনে বড় দালান, বাম পাশে একটি দালান, ওখান থেকে মন্দিরের ভোগ বিতরণ করা হয়। মন্দিরের গর্ভগৃহে নয়নাভিরাম কষ্টি পাথরের মাতৃ মূর্তি বিরাজমান, পদতলে সাদা রঙের মহাদেব শায়িত।
এই মন্দির একজন বয়স্কা সাধিকার হাতেই প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় লোকমুখে শোনা যায়, পরে সময়ের সাথে এই মন্দির তাঁর বর্তমান রুপ পেয়েছে। মন্দির দালানে আগের মন্দিরের ছবির সাথে বয়স্কা সাধিকারও ছবি আছে। আর জানা যায় প্রতি অমাবস্যায় মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়, দেওয়া হয় আতপ চালের ভোগ সাথে পায়েস।