তরুণ মজুমদারের প্রথম সম্পূর্ণ নিজস্ব পরিচালিত সিনেমা 'আলোর পিপাসা' নিয়ে কিছু কথা


 ১৯৫৩ সালের পর থেকে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করার কথা ভেবেছিলেন তিনি।যদিও যাত্রিক তখনও অক্ষুন্ন ছিল। ১৯৫৬ সালে তরুণ মজুমদার যাত্রিক থেকে পৃথক হয়ে যান এবং শুরু করেন নিজের একক পরিচালনা। মুক্তি পায় বসন্ত চৌধুরী ও সন্ধ্যা রায়কে নিয়ে ছবি আলোর পিপাসা। তার একক প্রয়াসের ছবি। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি পরিচালককে , তৈরী করলেন নতুন প্রজন্মের সূচনা। তরুণ বাবুর সব ছবি হিট হবার পেছনে থাকত আরও তিন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের অক্লান্ত পরিশ্রম। এই তিন জন ছাড়া তরুণ মজুমদার যেন অসম্পূর্ণ ছিলেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা রায় আর অনুপ কুমার। তরুণ বাবুর বেশিরভাগ ছবির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় , তার সঙ্গে তরুণ মজুমদারের আত্মিক সম্পর্ক ছিল। দুজনের যুগলবন্দী তে রবীন্দ্র সংগীতের সার্থক প্রয়োগ দেখা যায়।

আলোর পিপাসা একটি বাংলা নাটক চলচ্চিত্রটি যেটি তরুণ মজুমদার পরিচালিত ও দেবেশ ঘোষ প্রযোজিত এবং বালাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়ের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে গৃহীত । এই চলচ্চিত্রটি ডিআর-এর ব্যানারে ১৯৬৫ সালের ১৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল প্রোডাকশনস। সিনেমাটির সংগীত পরিচালনা করেছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।

কাহিনী :- 

 
এটি রোশনিবাইয়ের গল্প, একজন পতিতা যে তার সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে তার পরিচয় গোপন করে এবং তার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করে। একজন সিনিয়র ডাক্তার একজন জুনিয়র ডাক্তারের কাছে রোশনীর সংগ্রামের হৃদয়স্পর্শী গল্প বর্ণনা করছেন যিনি আসলে রোশনিবাইয়ের ছেলে।

 এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করছিলেন ডাক্তার হিসেবে পাহাড়ি সান্যাল
বসন্ত চৌধুরী ,সোহান লালের চরিত্রে অনুপ কুমার ,রোশনীবাই চরিত্রে সন্ধ্যা রায় এবং ভানু বন্দোপাধ্যায়, এছাড়া নীলার চরিত্রে অনুভা গুপ্তা,পার্থ চরিত্রে অসিত বরণ,দাশু চরিত্রে জহর রায়,সতীন্দ্র ভট্টাচার্য ,আশা দেবী, ভানু ঘোষ,মণি শ্রীমণি,সবিতা সিনহা ,সুনীতি মুখোপাধ্যায় ।