Durga Puja 2022: এখানে দুর্গাপুজোয় সধবা-বিধবাদের মাথায় জ্বলে ধুনো, পশুর বদলে বলি হয় কুমড়ো... - Pralipta

প্রলিপ্ত ডেস্ক : ঠনঠনিয়ার দত্ত বাড়ির দুর্গা পুজো কিংবদন্তি ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাক্ষী।১৮৫৫ সালে দ্বারিকানাথ দত্ত প্রথম পূজোর সূচনা করেন। তিনি ছিলেন পাট ব্যবসায়ী। তিনি মনে প্রাণে একজন ধর্মপ্রাণ ও উদারমনস্ক ব্যক্তি।এই বাড়ির প্রতিটি ইট কাঠ কড়িবরগায় ১৬৭ বছরের ছাপ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। অতীতের চোখ-ধাঁধানো জৌলুস না থাকলেও এই বাড়িতে অতীতের পরম্পরা ও নিষ্ঠা সহযোগে মা দূর্গার আরাধনা করা হয়।

দত্ত পরিবার দুর্গা পুজোর কাহিনী অনান্য বনেদি পরিবারের থেকে একটু ভিন্ন। দত্তরা ছিলেন বনিক সম্প্রদায়।তাই মহিষাসুরের বদলে দুর্গা হাজির হন শিবের কোলে অর্থাৎ এক রাতে দ্বারিকানাথ দত্ত স্বপ্নে শিব রূপে দুর্গারূপ দর্শন করেন । তখন তিনি মনে মনে স্থির করেন এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবেন । ১৮৫৫ সালে পুজো শুরু করেন তিনি । রাখী পূর্ণিমায় কাঠামো পুজোর পর জন্মাষ্টমী থেকে শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ । পুজো হয় সম্পূর্ণ বৈষ্ণবমতে । কারণ দত্ত বংশের পূর্বপুরুষরা নিত্যানন্দের বংশোদ্ভূত গোস্বামীদের শিষ্য ছিলেন । 


চালচিত্রে দশভুজা ও তাঁর দশ অবতারের মূর্তি অঙ্কিত হয়। তবে মা এখানে দ্বিভূজা রূপে পূজিত হন।প্রতিপদ থেকে পঞ্চমী অব্দি পুজো হয় ঘটে আর ষষ্ঠী থেকে দুর্গা দালানে পুজো করা হয়।এই পরিবারের রীতি অনুযায়ী মাকে অন্নভোগ দেওয়া হয় না।ভোগ হিসেবে লুচি, তরকারি,চিনি ও ১৬ রকমারি মিষ্টান্ন নিবেদন করা হয়। এছাড়া ১৬ রকমের ভাজা দেওয়া হয় তবে প্রত্যেকটা ভাজা নুন ছাড়া হয়।

অষ্টমীপুজোর একটি বিশেষ আকর্ষন হল ধুনো পোড়ানো। বাড়ির সধবা ও বিধবা নারীদের মাথায় বিড়ার উপর জ্বলন্ত মালসা বসিয়ে ধুনো পোড়ানো হয়।সন্ধিপূজোর পশুবলি দেওয়া হয় না তার বদলে কুমড়ো বলি দেওয়া হয়।নবমীতে পুজোয় সবচেয়ে বড় অভিনবত্ব , কুমারী ও সধবা দুই রূপে পুজো করা হয়। দত্তবাড়ির পুজো চলে দশদিন অবধি। দেবীর বিসর্জনের যাত্রাপথ হয় বাড়ির সদস্যদের কাঁধে চেপে।

তথ্যসূত্র ও ছবি : ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত