যমজ দুই বোনের মাধ্যমিকে নম্বরের ব্যবধান তিন - Pralipta

এ.কে.এম.সোহাগ, বসিরহাট, ২০ জুলাই : করোনার প্রকোপে ২০২১ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। সেখানে নবমের ৫০% ও দশমের প্রজেক্ট এর নম্বরের ৫০% নিয়ে এবারের মাধ্যমিকের মার্কশিট তৈরি হয়েছে। সেই প্রত্যাশিত ফল প্রকাশ হয়েছে আজ। ফল প্রকাশের পর যমজ দুই বোন দিশা ও তৃষ্ণার প্রাপ্ত নম্বরের ব্যবধান মাত্র তিন। দিশার সেখানে প্রাপ্ত নাম্বার ৬০৬ আর তৃষ্ণার প্রাপ্ত নম্বর ৬০৩। দুই বোন ভ্যাবলা লেডি মুখার্জি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। তাদের এই ফলাফল নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট নয় তারা। যেহেতু ওদের নবম শ্রেণীর আর্টস বিভাগের ফল ভালো ছিল না। এবারে মাধ্যমিকে ৬৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ৭৯ জন। পাশের হার সেখানে ১০০%। ওদের স্কুলের টি.আই.সি পম্পা সাধু খানের বক্তব্য, "ওরা দুই বোন পড়াশোনায় প্রায় সমতুল্য। দুজনের প্রকাশভঙ্গিও একই রকম। ওদের দুজনকে আমি একই চোখে দেখতাম। ওদের ফলাফলে আমি খুশি।" প্রলিপ্ত সংবাদ মাধ্যম থেকে ওদের বাড়িতে গিয়ে ওদের বক্তব্য শোনা হয়। দুজনের মধ্যে বড়ো বোন দিশার বক্তব্য, "পরীক্ষা প্রস্তুতি আমাদের ভালই ছিল, কিন্তু পরীক্ষা না হওয়াতে আমরা ভেঙে পড়ি। পরিস্থিতি বুঝে দুজন একে অপরকে বোঝালাম। জীবনে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার জন্য শুধু একটা পরীক্ষা যথেষ্ট নয়, আরও সুযোগ আছে যা আমাদের কাজে লাগাতে হবে।আমার ও আমার বোনের পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের পার্থক্য তিন হলেও, আমাদের মধ্যে কোনো হিংসা বা কোন পার্থক্য নেই। একজন অন্যজনকে নিয়ে খুশি।" সত্যিই তাই দুই বোনের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য আমরা দেখতে পেলাম না। দুজনের ফল নিয়ে ওদের বাবার বক্তব্য, "বাবা হয়ে আমি কখনো নিজের মেয়েদের রেজাল্ট চোখে দেখিনি, শুধু ওদের মুখে শুনে এসেছি। যেহেতু আমি কর্মসূত্রে দুবাইতে থাকি। এই অতিমারির কারণে আমি এখন বাড়িতে। তাই এই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ওদের উপর আমার পূর্ণ আস্থা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল। তবে পরীক্ষা হলে ওরা আরও ভালো ফল করত। পরীক্ষা না হওয়ায় ভালো খারাপ মিলিয়ে আমি ওদের সাফল্যে খুশি। "বাস্তবে ওদের নম্বরের ব্যবধান থাকলেও। মনের দিক থেকে কোন পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়নি। যা আমাদেরকে অবাক করেছে।