ভিক্ষে করছেন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী! উদ্দেশ্য টাকা সঞ্চয় - Pralipta


সূর্যা দাস, কলকাতা, ২৮ জুলাই : বাঁকুড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টার চত্বরে ভিক্ষা করেন বয়েস পঞ্চাশের এক ব্যক্তি। পরনে কালো নোংরা শার্ট, প্যান্ট। কাঁচা পাকা চুল, খোঁচা খোঁচা দাড়ি, ময়লা মাস্ক। সাথে নিয়েছেন নাইলনের ব্যাগে করে কিছু সরঞ্জাম আর একটা লাঠি।

শুক্রবার পুরসভার ভবঘুরে রাত্রিনিবাস সংস্থার কর্মীরা ভিক্ষাজীবী ভেবে নিয়ে যান ওই বৃদ্ধকে। তিনি ওখানে কিছু সময় থাকলেও রবিবার সে জায়গা থেকে বেরনোর জন্য জোর করতে থাকেন।শেষে আসল পরিচয় স্বীকার করেন, জানান সরকারি হাসপাতালের কর্মী, আলাদা নাম পরিচিতি। ভিক্ষা করা তার নেশা। ওনার মতে চাকরির পাশাপাশি কি ভিক্ষা করা যাবে না, এমন কোনো নিয়ম আছে নাকি! এরপর হাসপাতালের কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন করায় ওনাকে ছেড়ে দেওয়া হয় মঙ্গলবার সকালে। এরপর সংস্থার কর্মীরা পুলিশের কাছে লিখিত জানান বিষয়টি।

ভিক্ষে করতে দেখে উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু সব ব্যবস্থা থাকার পরও ওখান থেকে বেরনোর জন্য জেদাজেদি করেন ওই বৃদ্ধ, আর তাতেই সন্দেহ হয়। পরে সত্যি জানতে পেরে তাজ্জব হয়ে যায় সকলে, জানান পরিচালনকারী সংস্থার সম্পাদক অরুন সিংহ। মহকুমাশাসক সুশান্তকুমার ভক্ত বলেন "শীঘ্রই ওই ব্যক্তির মানসিক অবস্থা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলব।"

বিষয়টি তদন্ত করে জানা যায়, অনেক সহকর্মীই ওই বৃদ্ধকে বাসস্ট্যান্ড স্টেশনে ভিক্ষে করতে দেখেছেন। এদিকে বিয়ের পর থেকে টাকা জমানোর নেশায় চাকরির সাথে ভিক্ষা করতেও বেরোন, দাবি করেন স্ত্রী। তিনি আরও জানান দুটো ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা থাকলেও এতটুকু সাহায্য করে না। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা জানান, "ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পরে এবার ভুয়ো ভিক্ষাজীবী ভাবা যাচ্ছে না।"