চুঁচুড়ার গঙ্গারাম মল্লিক ঘাটের ইতিহাস - Pralipta

ঘাটের সম্মুখভাগ

অমিত কুমার সাহা : চুঁচুড়া শহরে ঘাটের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অসংখ্য ইতিহাসের সাক্ষী কম বেশি প্রায় প্রতিটি ঘাটই। চলুন ঘুরে আসা যাক চুঁচুড়ার অন্যতম প্রাচীন ঘাট ঘুটিয়াবাজারের গঙ্গারাম মল্লিকের ঘাটের শিকড়ে।

১২৬২ বঙ্গাব্দে সুবর্ণবণিক বংশীয় গঙ্গারাম মল্লিক গঙ্গার ধারে নিজ পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসীদের স্নানের সুবিধার্থে এই ঘাটটি নির্মাণ করান। তাঁরই নামানুসারে এই ঘাটটি গঙ্গারাম মল্লিকের ঘাট নামে পরিচিতি লাভ করে।

ঘাটের লোহার সিড়ি

এই ঘাটের ওপরের দিকে রয়েছে মল্লিকদের শিব
মন্দির। এই মল্লিক বংশীয় প্রসূন মল্লিক একান্ত আলাপচারিতায় জানান, এই শিবমন্দিরে শিবরাত্রি ব্রত, চৈত্রমাসে নীলাবতীর বিবাহ অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

ঘাটের মন্দিরের ছবি ও নীল পূজোর দিনের মূর্তি

মন্দিরের ফলক

রেণুকা মল্লিক-এর মূর্তি একসময় এই ঘাটের সম্মুখেই ছিল, বর্তমানে প্রসাদভবনে রয়েছে

এই ঘাটের দক্ষিণদিকে একটি উদ্যানের ভগ্নস্তূপ
পরিলক্ষিত হয়। জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামী
গোপেশচন্দ্র মল্লিক এই উদ্যানে তাঁর পরলোকগতা স্ত্রীর রেণুকা মল্লিক-এর একটি মূর্তি নির্মাণ করান। ১৯৭২ খ্রীষ্টাব্দের ভয়াবহ বন্যায় এই উদ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হলে গোপেশচন্দ্র তাঁর নিজের বাড়িতেই এই মূর্তি স্থানান্তরিত করেন।

ঘুটিয়াবাজার শ্মশান ঘাট

এইখানেই পরিবারের লোকজনদের দাহকার্য সম্পন্ন করার জন্য গঙ্গারাম মল্লিক একটি শ্মশান ঘাট নির্মাণ করান; পরবর্তীতে যা ঘুটিয়াবাজার শ্মশান ঘাট নামে পরিচিতি লাভ করে।

এই স্নানঘাটেই রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন লোহার সিঁড়ি,যা আজও বয়ে নিয়ে চলেছে প্রবহমান সময়ের বহু জানা অজানা ইতিকথা।


... 
তথ‍্যসূত্র ও ছবিসূত্র - 

অঙ্কুর মজুমদার ও প্রসূন মল্লিক