রাস্তা অবরোধ করে পাশ অকৃতকার্যরা, প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা সংসদের যোগ্যতা নিয়ে - Pralipta


সূর্যা দাস, কলকাতা, ২৮ জুলাই : করোনাকালে বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক। তার পরিবর্তে মূল্যায়ন হয়েছে বিশেষ পদ্ধতিতে।সেখানে পাশের হার ভালো হলেও ফেল করেছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। সেই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। ফেল করা কেন্দ্র করে রাজ্যে বিক্ষোভ অবরোধ শুরু হয় বিগত কয়েকদিন ধরে। এর জেরে ফের মূল্যায়ন করা হয়। তাতেই পাশ করে সকল অকৃতকার্য পড়ুয়ারা।

এই ঘটনার কারণে অনেকে বলেছে শিক্ষা সংসদ নিজের যোগ্যতা হারাল। প্রশ্ন উঠেছে, সময়সীমা ৩১ জুলাই পর্যন্ত থাকলেও কেন এত দ্রুততার মধ্যে ফলপ্রকাশ করা হল। তাতেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পরবর্তী সময়ে পাশ না করলে পড়ুয়ারা রাস্তায় নেমে পাশ করানোর দাবিতে বিক্ষোভ করবে না তো!

এ বিতর্কের মাঝে অকৃতকার্য পড়ুয়াদের পাশ করানোতে খুশি স্কুলগুলো। কিন্তু পাশের পর প্রশ্ন উঠেছে কি হিসেবে ফেল করানো হল তা বোঝা গেল না। যেখানে পূর্বেকার সব পরীক্ষায় পাশ করে এসেছে সেখানে এবারে পরীক্ষা না হয়েও এমন ফল কি করে হয় তার যুক্তি মিলল না। মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য অনুযায়ী মূল্যায়ন সঠিক পদ্ধতিতে হয়েছে, স্কুলের তথ্য যা এসেছে তা নির্ভর করে হয়েছে মূল্যায়ন। বিতর্ক শুরু হয়েছে এ প্রসঙ্গ নিয়ে। শিক্ষা সংসদ যুক্তি দিলেও, বিশ্বাস যে তলানিতে এসে ঠেকেছে তা বলাই বাহুল্য। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রীর সাথে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের আলোচনা হয় বিকাশ ভবনে।