চুঁচুড়ার তোলাফটকের শেঠ বাড়ি - Pralipta

শেঠ বাড়ির সম্পূর্ণ ছবি

অঙ্কুর মজুমদার: ১৯১৭ সালে চুঁচুড়ার তোলাফটক রোডের উপর বিশিষ্ট লৌহ ব্যবসায়ী নেপালচন্দ্র শেঠ এই বাড়িটি তৈরি করেন। নেপালচন্দ্র শেঠ ছিলেন সে সময়ের লৌহ ব্যবসায়ীদের মধ্যে অন্যতম। কলকাতার বড়বাজারে ছিল তাঁর বাবা গগন শেঠের লোহার দোকান এবং এই ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই সমাজে তাঁদের বেশ নাম যশও ছিল। পারিবারিক সূত্রে চুঁচুড়ার সাথে তাঁদের সংযোগ ছিল তা জানা যায় এবং বর্তমানে চুঁচুড়ার তোলাফটক অঞ্চলেও বেশকিছু শেঠ পরিবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, সেইসব শেঠ পরিবারের বাড়িগুলিও বেশ পুরোনো, সেইসব বাড়ির গঠনশৈলীতেও রয়েছে প্রাচীনতার ছাপ, তবে সেইসব অন্য প্রসঙ্গ। 

শেঠ বাড়ির সম্পূর্ণ সম্মুখ ভাগ

শেঠ বাড়ির সম্মুখ ভাগ

নেপালচন্দ্র শেঠের এই বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল ব্রিটিশ আমলেই। ফলে সেই সময়কার কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন লক্ষ্য করা যায় তেমনি তাদের বাড়ির সম্মুখ দ্বারে রাজস্থানী হাভেলির বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়, বাঙালিয়ানার প্রভাবও এই বাড়ির গঠনশৈলীতে যথাযথ পূর্ণ। 

শেঠ বাড়ির দ্বারে রাজস্থানী হাভেলির বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট

শেঠ বাড়ির দ্বারে রাজস্থানী হাভেলির বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট

বাড়ির ভিতরে ঢোকার পরে ঠিক বাম দিকে লক্ষ্য করা যায় ঠাকুরদালান, ভিতরে রয়েছে পারিবারিক পুষ্করিনী, তাছাড়াও একাধিক ঘর, সুন্দর গঠনমূলক একতলা ছাদের ব্যালকনি ও বাড়ির সম্মুখ গেটের ঠিক বাঁদিকে ভগ্ন অবস্থায় দেখা যায় ঘোড়ার গাড়ি রাখার প্রাচীন মহলটি। শোনা যায়, কলকাতা থেকে সেই সময় ঘোড়ার গাড়ি করেই যাতায়াত করতেন নেপালচন্দ্র শেঠ এবং ঘোড়ার গাড়ির চালক ও অন্যান্যরা ঘোড়ার গাড়ি সহ এই মহলটিতেই থাকতেন। 

শেঠ বাড়ির ঠাকুরদালান

শেঠ বাড়ির ঘোড়ার গাড়ি রাখার প্রাচীন মহল

এছাড়াও শোনা যায় এই শেঠ পরিবারের আদি বাড়ি ছিল চুঁচুড়ার ধরমপুর অঞ্চলে, যার অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। শেঠ পরিবারের কলকাতায় লোহার ব্যবসা বংশপরম্পরায় চললেও প্রায় পঁচিশ - ত্রিশ বছর হল তা বন্ধ রয়েছে। চুঁচুড়ার বুকে এইরকম প্রাচীন বাড়ি একাধিক। তবে এই বাড়ির গঠনশৈলী অনেককেই স্তম্ভিত করেছে। আগামীতে বাড়িটি সংরক্ষণ করা হোক এই আশাই থাকবে। 

শেঠ বাড়ির অন্দরমহল

বর্তমান বাড়ির সদস্য সুভাষচন্দ্র শেঠের থেকে শেঠ পরিবারের একটি বংশ তালিকা আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি তা নিম্নে দেওয়া হল -


তথ‍্যসুত্র: 

১.ইন্টারনেট
২. সুভাষচন্দ্র শেঠ দ্বারা প্রাপ্ত তথ‍্য

সহযোগিতায় কল্পক রায় ও রিতম চন্দ