দিল্লিকে হারালো কলকাতা - Pralipta


আকাশ ঘোষ, কলকাতা : ম্যাচ জিতে নিজেদের দরকারি ২ পয়েন্টস পকেটে পুরলো কলকাতা।
টপ অর্ডারে পরিবর্তন করে ফল পেল কলকাতা। কিন্তু দিল্লির দুই ভয়ংকর ফাস্ট বোলারদের সামনে প্রথমদিকে কলকাতা ব্যাটসম্যানরা সমস্যায় পড়ছিল। তার ফলে নোটরেজ এর প্রথম দুই ওভারে গিল ও ত্রিপাঠীকে নোটরেজ নিজের শিকারের ঝুলিতে রেখে দেয়। এরপর রাবাডা এসেও কার্তিককে তুলে নেয়। এরপর চার ম্যাচ পর খেলতে নামা সুনীল নারিন নিজের ব্যাটিং এর প্রদর্শন করতে থাকে। নারিন ও রানা এসে কলকাতার নড়বড়ে দেখতে থাকা ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করে আবার চালাতে শুরু করে দুই ব্যাটসম্যান। নারিন একদিক থেকে ঝড়ের মতো ইনিংস খেলতে থাকলে অন্যদিকে থেকে রানাও নারিনকে যোগ্য সহযোগিতা করে। নারিন ও রানা মিলে একটা ১০০ রানের পার্টনারশিপ করে। যেখানে নারিন ৩২ বলে ৬৪ রান করে। নারিন ইনিংসটা ৬টা চার ও ৪টে ছয় দিয়ে সাজিয়ে ছিল। নারিন আউট হলে রানা ও নিজের ফর্ম দেখাতে থাকে। রানা ১৩টা চার ও ১টা ছয় এর সাহায্যে ৫৩ বলে ৮১ রান করে। শেষে এসে মর্গ্যান ৯বলে ১৭ রান করে। যার উপর ভর করে কলকাতা ১৭৪ রান অবধি পৌঁছায়।

নীতিশ রানা ৫০ করার পর একটা "সুরিনদার" নামে জার্সি তুলে ধরতে দেখা যায়। যেটা ছিল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে নিজের জীবন যুদ্ধে হেরে যাবা নীতিশ রানার শশুরমশাই এর উদ্দেশ্য একটা ছোট সন্মান রানার তরফ থেকে।
রান তাড়া করতে নেমে কম্মিন্স এর প্রথম বলেই  রাহানে ০ রান করে ফিরে যায়। কম্মিন্স এর দ্বিতীয় ওভারেই ধাওয়ান ও ফিরে যায়। এরপর দিল্লি সমর্থকরা তাকিয়ে ছিল দিল্লির মিডল অর্ডারের দুই স্তম্ভ এর উপর শ্রেয়াস আইয়ার ও রিসভ পান্থ উপরে। দুইজনেই ভালো শুরু করে কিন্তু পান্থ ৩৩ বলে ২৭ রান করে ফিরে গেলে ম্যাচ ওই জায়গায় শেষ হয়ে যায়। পান্থকে প্যাভিলিয়নে ফেরায় বরুন চক্রবর্তী। মাঝে শ্রেয়াস আইয়ার দাঁড়িয়ে চেষ্টা করলেও বরুন চক্রবর্তীকে বড়ো শট খেলতে গিয়ে ১৪ নম্বর ওভারে প্রথমে হিটমায়ার আর  শ্রেয়াসকে প্যাভিলিয়নে পাঠায়। শ্রেয়াস ৪৭ রান করে ফিরে যায়। এরপর স্টোয়নিস, অক্সার ও রাবাডা আয়া রাম যায় রামের অবস্থা হয়। যার জন্য দিল্লি ১৩৫ রানে ৯ উইকেটে নিজেদের ইনিংস শেষ করে।