কোনার্ক সূর্য মন্দির; মধ্যযুগীয় ঐতিহাসিক বিবরণ - Pralipta



সায়ন দাস: বঙ্গোপসাগরের তীরে, উদীয়মান সূর্যের রশ্মিতে স্নান করানো, কোনার্কের মন্দিরটি সূর্যদেব সূর্যের রথের স্মৃতিচিহ্ন। এই মন্দিরের ২৪ টি চাকা প্রতীকী নকশায় সজ্জিত এবং এটি ছয় ঘোড়ার একটি দল দ্বারা পরিচালিত। ১৩ শতাব্দীতে নির্মিত এটি ভারতের অন্যতম বিখ্যাত মন্দির। ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত কোনারাকের সূর্য মন্দির স্থাপত্য ও শিল্পের অন্যতম উদাহরণ যা এর ধারণা গনিত মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোনার্ক নামটি সংস্কৃত 'কোন' শব্দের অর্থ কোণ এবং 'অর্ক' শব্দের অর্থ সূর্য। অর্থাৎ সুর্য্যের বিভিন্ন কোণের অবস্থান। এই মন্দিরটি সুর্য্যের বিভিন্ন অবস্থানে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে। যা এই মন্দিরটি সূর্যদেবকে উৎসর্গ করা হয়েছিল। এটি ব্রাহ্মণ্যবাদ এবং তন্ত্রবিশ্বাস ব্যবস্থার সাথে প্রত্যক্ষ ও বৈষয়িকভাবে জড়িত।

সূর্য মন্দিরটি কলিঙ্গান মন্দির স্থাপত্যের সমস্ত সংজ্ঞায়িত উপাদানের নিখুঁত উদাহরণ। সূর্য মন্দিরটি কলিঙ্গান মন্দির স্থাপত্যের সমাপ্তি, এর সমস্ত সংজ্ঞায়িত উপাদান সম্পূর্ণ এবং নিখুঁত আকারে। নির্মাতা এই বিশাল মন্দিরটি  একটি রথকে উপস্থাপন করেছে।
এই মন্দিরটিকে ইউরোপীয় নাবিকরা ব্ল্যাক প্যাগোডা বলতো। আর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরটিকে হোয়াইট প্যাগোডা বা সাদা পাগোডা, নামে পরিচিত ছিল। কোণার্কের সূর্য মন্দিটি গড়ে ওঠার পেছনে দুটি মত আছে। একটি মত হল, কৃষ্ণের পুত্র শাম্ব সূর্যের উপাসনার জন্য এই মন্দিরটি নির্মান করেন। আরেকটি মত হল, পূর্বগঙ্গা রাজবংশের নরসিংহদেব ১২৫৫ খ্রিস্টাব্দে চন্দ্রাভাগা নদীর তীরে প্রাচীন মৈত্রিয়ারনে অর্থাৎ কোনার্ক শহরে এই মন্দির প্রতিষ্টা করেন। তবে দুটি মতামতের মধ্যে প্রথমটিই বেশি গ্রহনযোগ্য। মন্দিরটি বর্তমানে পু্রী থেকে ৩৫ কিমি এবং ভুবনেশ্বর থেকে ৬৫ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত।

 কোনার্কের সূর্য মন্দিরের রথটিতে সাতটি ঘোড়া দ্বারা বারো জোড়া চাকা রয়েছে, যার ব্যাস প্রায় 3 মিটার। এছাড়া প্রতিটি প্রতীকের নির্দিষ্ট মোটিফ রয়েছে। যা প্রতি জোড়া চাকা বছরের মাসগুলিকে নির্দেশ করে। এছাড়া চাকার কারুকার্য দর্শকদের জন্য একটি প্রধান আকর্ষণ। প্রতিটি চাকা একেকটি সূর্যঘড়ি। চাকার ভেতরের দাঁড়গুলো সূর্যঘড়ির সময়ের কাঁটা। আটটি দাড়ি মানে অষ্টপ্রহর। এখনো নিখুঁতভাবে সময় জানা যায় এই সূর্যঘড়ির সাহায্যে। মন্দিরের প্রবেশপথেই রয়েছে বিশাল দুটি সিংহের মূর্তি যারা লড়াই করছে দুটি রণহস্তীর সঙ্গে। মন্দিরের আর্কিটেকচারে প্রতিটি নকশা ভারতের অন্যতম মন্দিরের মধ্যে অন্যতম। চাকার মধ্যে, মন্দিরের চৌরাস্তার মধ্যে অতুলনীয় কলা দ্বারা নির্মান সিংহ (যার প্রতীকী অর্থ পাপ আর অসত্যকে বিনাশ করা) , সংগীতশিল্পী এবং নর্তকী। এছাড়া কামমূলক নিদারুণ আর্টে সজ্জিত। অনেক ভারতীয় মন্দিরের মতো, সূর্য মন্দিরে বিভিন্ন স্বতন্ত্র ও সু-সংগঠিত স্থানিক ইউনিট রয়েছে। রথের মূল মন্দিরটি একটি একটি শিখর দ্বারা বেষ্টিত ছিল, যা উনিশ শতকে শিখরটি ধ্বংস হয়েছিল।

পূর্বদিকে, জাহোমোগান (শ্রোতা হল) এর পিরামিডাল ভর দিয়ে ধ্বংসাবশেষকে প্রাধান্য দেয়। আরও পূর্বে, নাটমন্দির (নৃত্য হল), আজ অপ্রকাশিত। মন্দিরটির মোট উচ্চতা ছিল প্রায় ৮৫৭ ফুট। তবে মন্দিরের অনেক অংশ এখন বালির নিম্নে। তবে বর্তমানে মন্দিরের ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যই দেখা যায়।

মানবসভ্যতার আদি লগ্ন থেকেই মানুষ সূর্যের উপাসক ছিল। তাই বিশ্ববাসী সূর্য দেবতার জন্য শত শত উপাসনালয় তৈরী করেছে। প্রাচীন ইতিহাসে সূর্য মন্দিরের অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়।  ভারত, চীন, মিশর আর জাপানের মতো প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ দেশগুলোতে নানান সূর্য মন্দিরের অস্তিত্ব মেলে। তবে সারা বিশ্বের সূর্য মন্দিরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন এবং সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি অবস্থিত উড়িষ্যার কোনার্কে।

মন্দিরের আর্কিটেকচারের প্ল্যান এমনভাবেই করা যে ভোরের সূর্যোদয়ের প্রথম আলো মন্দিরের প্রাঙ্গনে সর্বপ্রথম এসে পড়ে। মন্দিরের প্রতিটি উপাদানের কণায় অর্থাৎ চাতাল থেকে শুরু করে চূড়া পর্যন্ত প্রতি জায়গায় পাথরের ভাস্কর্য ও কারুকার্য রয়েছে। অপ্সরা, কিন্নর, যক্ষ, দেব-দেবী, গন্ধর্ব, মনুষ্য, নাগ, বালিকা বধূ, কাম, বিয়ের শোভাযাত্রা, সমকামিতা, রাজার যুদ্ধ প্রস্তুতি, মৃদঙ্গকরতাল বীণা, মোহিনী, রাশিমূর্তি, ছয় হাতের শিব, রাজদরবারের নানান দৃশ্য, পৌরাণিক বিভিন্ন ঘটনার প্রতিরূপ, নৃত্যরত নরনারী, প্রেমিক যুগল, ফাঁদ দিয়ে হাতি ধরা,শিকারের দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাথরের বুকে। মূর্তিগুলোর মানবিক আবেদন, নিখুঁত গড়ন, লীলায়িত ভঙ্গী শিল্পকলার উৎকর্ষের নিদর্শন রয়েছে। মন্দিরের তোরণে মানুষের মূর্তি শায়িত রয়েছে।


কামদভাস্কর্যের জন্য এই মন্দিরের নিদর্শন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। মানব জীবনের সামাজিক প্রবৃত্তিকে পাথরে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে যে মন্দিরটি শুধু উড়িষ্যার নয়, পুরো ভারতেরই সবচেয়ে সুন্দর মন্দিরগুলোর মধ্যে একটি। বাস্তবতা আর আধ্যাত্মিকতা দুই মিশে এই মন্দিরের এক হয়েগেছে। কিন্তু কালের গভীরে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ায় এর অনেকাংশ আর নষ্ট হয়েগেছে। এমনকি মন্দিরের দেবতার পবিত্র বেদীটি আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। প্রবেশপথের নত মন্দিরেরও যে অংশটুকু দেখা যায় তা এক-তৃতীয়াংশেরও কম। তথাপি যা কিছু অবশিষ্ট আছে, তাতেই এ মন্দিরটি অন্যগুলোর চেয়ে অনন্য।

মন্দিরের আর্কিটেকচারকে দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি উপরের অংশ, অন্যটি নীচের। স্পষ্টত উপরের কাজগুলো নীচেরগুলোর চেয়ে অধিক নিপুণ এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত। উপরের অংশে বিভিন্ন পৌরাণিক দেবদেবী ওপশুপাখির ছবি রয়েছে। মহিষাসুরমর্দিনী র ছবি রয়েছে, তবে বিশেষভাবে বিষ্ণু আর শিবলিঙ্গই এদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এছাড়া কৃষ্ণ, সরস্বতী আর গণেশের ভাস্কর্যও ছিল, যেগুলো ব্রিটিশ শাসনামলে লুণ্ঠিত হয়েছে। এরকম কিছু অত্যন্ত চমৎকার ভাস্কর্য বর্তমানে শোভা পাচ্ছে ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশের জাদুঘরে।
বিংশ শতাব্দীর ১৯০৪ সালে প্রত্নতত্ববিদরা বড়লাট লর্ড কার্জনের সময়ে কোনার্ক মন্দির পুনঃরাবিষ্কার করেন।

অতীতে মন্দিরের সূর্যদেবতার যে বিশাল বিগ্রহ ছিল তা আজ আর নেই। কালের করাল গ্রাসে স্থাপনার অনেকটাই আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। এই মন্দিরের ধ্বংসপ্রাপ্তের জন্য বিশেষ কয়েকটি সামাজিক কারণ তা আছে।

 প্রথমত: বাংলার সুলতান সুলেমান খান কারানির সেনাপতি কালাপাহাড়ের আক্রমণে কোনার্ক মন্দির প্রথম ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ইতিহাস অনুযায়ী কালাপাহাড় ১৫০৮ সালে প্রথম কোনার্ক মন্দির আক্রমণ করে। দ্বিতীয়ত ১৬২৬ সালে খুরদার তৎকালীন রাজা পুরুষোত্তম দেবের পুত্র নরশিমা দেব সূর্যদেবের বিগ্রহটি পুরীর জগন্নাথের মন্দিরে নিয়ে যান। সেখানে একটি পৃথক মন্দিরে সূর্য এবং চন্দ্র দেবতার বিগ্রহ স্থাপন করা হয়। শুধু বিগ্রহই নয় তিনি কোনার্ক মন্দির থেকে কারুকার্য করা অনেক ভাস্কর্য পুরীর মন্দিরে নিয়ে যান। এমনকি নবগ্রহ পথ নামে একটি বিশাল প্রস্তর খন্ডও তিনি পুরীতে নিয়ে যান। মারাঠা শাসনামলে কোনার্ক মন্দির থেকে অনেক ভাস্কর্য ও প্রস্তরখন্ড পুরীতে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৭৭৯ সালে কোনার্ক থেকে অরুণ কুম্ভ নামে বিশাল একটি স্তম্ভ নিয়ে পুরীর সিংহদ্বারের সামনে স্থাপন করা হয়। সেই সময় মারাঠা প্রশাসন কোনার্কের নাট মন্ডপটি অপ্রয়োজনীয় মনে করে ভেঙ্গে ফেলে। সূর্যদেবের বিগ্রহ অপসারণের পর কোনার্কে পূজা এবং আরতি বন্ধ হয়ে যায়। তৃতীয়ত কারন পর্তুগীজ জলদস্যুদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে কোনার্ক বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। পর্তুগীজ জলদস্যুদের দস্যুবিতি করতে অসুবিধা হওয়ার জন্য পর্তুগীজ দস্যুরা কোনার্ক মন্দিরের মাথার শক্তিশালি চুম্বক টিকে নষ্ট করে দেয়। আঠারশ শতক নাগাদ কোনার্ক মন্দির তার সকল গৌরব হারিয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। মন্দিরের অনেক অংশ বালির নিম্নে চাপা পড়ে থাকে।

ধীরে ধীরে মন্দির চত্বর এবং আশেপাশের এলাকা গভীর জঙ্গলে পরিণত হয়‌। এছাড়া নানান পশুপাখি এই মন্দিরটিকে তাদের বাসায় পরিণত করে। জলদস্যু ও ডাকাতের আস্তানায় পরিণত হয় কোনার্ক মন্দির। সেসময় সূর্যের আলোতেও সাধারণ মানুষ ভয় পায়।

সূর্যদেব অদিতির পুত্র। একটি ইতিহাস, পূর্বপুরুষ, পরিবার, স্ত্রী এবং বংশধরদের সাথে একটি ঐশ্বরিক সত্ত্বা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে এবং এর মতোই, সৃষ্টির কল্পকাহিনী ও কিংবদন্তিগুলিতে খুব বিশিষ্টভাবে ভূমিকা পালন করে। তদুপরি, এটি তার নিজস্ব শৈল্পিক সৃষ্টির সমস্ত কিংবদন্তীর সাথে সম্পর্কিত - ১২০০ জন কারিগর 12 বছর ধরে এটি নির্মাণ করেন।  কোনারাকের অবস্থান এবং নাম উপরোক্ত সমস্ত সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্যদাতা, এবং এর স্থাপত্য তন্ত্রবিদ্যার ঐতিহ্যের সাথে জড়িত। আবার কিছু পৌরাণিকবিদ বিবাস করেন যে, কোণারক হল ৮ ম শতাব্দীর কাশ্মীরে উত্থিত সূর্য সম্প্রদায়ের বিস্তারের ইতিহাসে অবশেষে পূর্ব ভারতের তীরে পৌঁছেছিল।
কোনারাক ওড়িশার ত্রয়োদশ শতাব্দীর রাজ্যের এক অসামান্য সাক্ষ্য বহন করে আসছে।
মনোনীত সম্পত্তির সীমানা কোনারাকের সূর্য মন্দিরের বহিরাগত ইউনিভার্সাল মূল্য উপস্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলিকে আবদ্ধ করে। সম্পত্তির শিলালিপিযুক্ত এবং সুরক্ষিত ব্যাপ্তির মধ্যে, এর বেঁচে থাকা কাঠামো এবং ভাস্কর্যগুলি এবং সেইসাথে বিচ্ছিন্ন অবশেষগুলি সংরক্ষিত রয়েছে, এটি স্থাপত্য ফর্ম, নকশা এবং ভাস্কর্যগত ত্রাণের পঞ্চম গুণাবলী উপস্থাপন করে। তদুপরি, সুরক্ষিত অঞ্চলে এমন সমস্ত অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা কোনও অনাবিষ্কৃত প্রত্নতাত্ত্বিক অবশেষ প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে যা সম্ভবত সম্পত্তির বহিরাগত ইউনিভার্সাল মানের মূল্য বোঝার উন্নতি করতে পারে। সম্পত্তির অখণ্ডতার জন্য চিহ্নিত এবং সম্ভাব্য হুমকির মধ্যে বিকাশের চাপ রয়েছে। আধুনিকীকরণ এবং শহুরে বৃদ্ধি স্মৃতিস্তম্ভের পরিবেশকে প্রভাবিত করে। পরিবেশগত ও সামাজিকগত নানান দুষনের জন্য, বর্ষার বৃষ্টিপাত এবং এর সাথে জড়িত মাটির ক্ষয়ের প্রভাব এই মন্দিরের প্রচুর ক্ষয়প্রাপ্তী ঘটছে। এছাড়াও লবণের বায়ুর কারণে মন্দিরের নানান উপাদানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।


বর্তমানে কোনার্ক সূর্য মন্দিরের প্রাচীন স্মৃতিসৌধ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটগুলি এবং অবশিষ্টাংশ ১৯৫৮ র এএমএএসআর আইন অনুযায়ী এবং ১৯৫৯ সালে ভারত সরকার সুরক্ষিতর ব্যাবস্থা নিয়েছে। অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রতিরক্ষামূলক আইনগুলির মধ্যে রয়েছে বন আইন, কোনার্ক উন্নয়ন আইন এবং বিজ্ঞাপিত কাউন্সিল এরিয়া আইন। এএমএএসআর আইনের অধীনে, সম্পত্তির বাইরে ১০০ মিটার জোন এবং সম্পত্তির বাইরে ২০০ মিটার যথাক্রমে আরও জোন গঠিত হয়।  সমস্ত সংরক্ষণ কার্যক্রম ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ দ্বারা এর জাতীয়, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গৃহীত হয়। এই মন্দিরের ব্যবস্থাপনার জন্য সম্পর্কিত পাঁচটি পরিকল্পনার ব্যাবস্থা নিয়েছে ভারত সরকার। এই পরিকল্পনায় রয়েছে মন্দির সুরক্ষা, আর্কিটেকচার প্ল্যানিং, পরিবেশ উন্নয়ন এবং পর্যটন। কাঠামোগত স্থিতিশীলতার মূল্যায়নের জন্য বিশ্ব ঐতিহ্য তহবিল প্রাপ্ত হয়েছে।

তথ্যসূত্র

(১) http://whc.unesco.org/en/list/246
(২) Lewis Sydney Steward O'Malley; Bengal District Gazetteer ; Puri
(৩) roar.media › main › art-culture
কোনার্ক সূর্য মন্দির ... - Roar Media
(৪) হেমন্তবেলায়; বুদ্ধদেব গুহ
(৫) কলিঙ্গের দেবদেউল; নারায়ন সান্যাল
(৬) আমার কাল আমার দেশ; সুধীর চন্দ্র সরকার
(৭) রম্যানীবীক্ষ্য; সুবোধ কুমার চক্রবর্তী

ছবি: URL