ভ্রমণ কাহিনী | নিশ্চুপ শান্তির খোঁজে | সুচরিতা ঘোষ | Haraf | Pralipta


হালফিলে আমরা সকলেই অফবিট প্রেমী হয়ে উঠেছি। আমিও তাদের মধ্যে একজন। অফবিট জায়গা হিসাবে মানেভঞ্জন এর নাম অনেকেরই জানা। তবে যারা অফবিটের Double Dose পেতে চান তারা চলে যান মাজুয়ায়।

মানেভঞ্জন থেকে আরও সাত কিলোমিটার রাস্তা। হাতে গোনা হোমস্টে,  আমাদের বুকিং ছিল অরণ্যবাস -এ। চারিপাশ জঙ্গলে ঘেরা। কোনো ধোঁয়াশা না রেখে জানিয়ে দি, এই সাত কিমি রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ। প্রতি মুহূর্তে মনে হতে পারে,  খুব ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু একটু কষ্ট করে,  দাঁতে দাঁতটি চেপে যদি পৌঁছে যেতে পারেন, কথা দিচ্ছি, নিরাশ হবেন না।

একেবারে প্রচারবিমুখ অন্তর্মুখী একটি জায়গা। আড়ম্বরহীন,  সরল স্বভাব, মুখচোরা, শান্ত অথচ জীবনরসে পরিপূর্ণ| কেবলমাত্র লেখা দিয়ে জায়গাটার স্বরূপ কতটা ব্যক্ত করতে পারব জানি না, তবে চেষ্টা করব।

গাড়ি থেকে নামতেই ছোট্ট সাদা একটা পমেরানিয়ান আমাদের স্বাগত জানাতে এলো। তখনো ওর নাম জানিনা। ওর লাফালাফি দেখতে দেখতে একমুখ হাসি নিয়ে অরণ্যবাসের প্রবেশদ্বার পেরিয়ে আমরা উপস্থিত হলাম ট্রি- হাউজের সামনে। এটাই আমাদের আজকের ঠিকানা। অনেক দিনের ইচ্ছে পূরণের ঠিকানা।
পৌঁছাতে একটু দেরী হয়েছিল বলে চটজলদি লাঞ্চ সেরে বেরিয়ে পড়লাম। ওখানে পা ফেলার পর থেকেই কানে আসছে এক স্রোতস্বিনীর কল কল শব্দ। সেই শব্দ কে অনুসরণ করে গুটি গুটি পায়ে আমরা চারজন পৌঁছে গেলাম মাজুয়া ফলস এর কাছে। রঙ্গিন নদীই এর উৎস‌। অরণ্যবাস থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটা পথ।

https://pandulipi.co.in/travel/66/travel-story/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A7%81%E0%A6%AA-%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%81%E0%A6%9C%E0%A7%87-repost/