মহারাজা তোমাকে সেলাম - Pralipta

 
প্রীতম রায়, উত্তর কলকাতা, ৮ই জুলাই ২০২০ :
বাঙালির আবেগ অনুভূতি গর্ব অহংকারের নাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আজ পা দিলেন ৪৮ এ। ভারতের অধিনায়ক থেকে বিসিসিআইয়ের সর্বময় কর্তা, পেরিয়ে এসেছেন অনেকটা পথ। ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে নস্টালজিয়ায় এখনও ভাসছে ক্রিকেট কার্ডের সংগ্রহশালার গল্পগুলো, কিংবা দেওয়ালে রঙ পেন্সিল দিয়ে লেখা ভারত অধিনায়কসহ গোটা টিমের নাম। এক আলাদা তাগিদ কাজ করতো তখন, উন্মাদনায় উড়তো গেরুয়া, সাদা, সবুজ রঙের তেরঙ্গাটা বাড়ির ছাদে।
ইডেনে গিয়ে দাদার খেলা দেখার সুযোগ আমার হয়নি। তবে যতক্ষন তিনি ক্রিজে আছেন ততক্ষন চোখ আটকে থাকতো টিভির সাদা কালো পর্দায়। দাদার কভার ড্রাইভ, স্কোয়ার কাট, স্টেপ আউটে বাপি বাড়ি যা জুড়ে থাকতো হাততালির মহড়া। ১৯৯৬ - এ লর্ডসের স্যাঁতস্যাঁতে  মাঠে সরু গোঁফ  আঁকা বাঙালি বাঁ হাতি ছেলেটার বিধ্বংসী ব্যাটের ঝলকানি চেটে-পুটে উপভোগ করছে তখন লর্ডসের গ্যালারি। আজারুদ্দিন পরবর্তী অন্ধকার অধ্যায়ে তরুন তুর্কিদের নিয়ে গড়লেন নতুন টিম ইন্ডিয়া। বিক্রম বর্গ জ্বলে উঠল বিদেশের মাটিতে কখনো বুক চিতিয়ে লড়ল অস্ট্রেলিয়ায়, কখনও ন্যাটওয়েস্টে জার্সি উড়িয়ে চলল সেলিব্রেশন।নিজে না নেমে আগে নামিয়ে দিলেন ধোনিকে বাকিটা ইতিহাস রচনা করল সে ২০০৭ আর ১১'য় বিশ্বকাপ জিতিয়ে।

ভুলতে পারিনি পড়ন্ত বিকেলে বেঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামীতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাদার মহাকাব্যিক ইনিংস ২৩৯ জ্বল জ্বল করছে তখন স্কোরবোর্ডে, কিংবা ইডেনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর ব্যাট হাতে উল্লাস।
হ্যাঁ দাদাই পারে উদ্ধ্যত স্টিভ ওয়াকা টসের জন্য দাঁড় করিয়ে রাখতে। সেওয়াগ, যুবি, নেহেরা, জাহির কিংবা ক্যাপ্টেন ধোনিকে ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে তুলে আনতে। জন্মদিনে তাই জানাই "মহারাজা তোমারে সেলাম"।